অল্প পুঁজিতে ২০টি লাভজনক ব্যবসা করে কোটিপতি হন

অল্প পুঁজিতে ২০টি লাভজনক ব্যবসা করে কোটিপতি হন

সম্মানিত পাঠক আসসালামু আলাইকুম। আপনি যদি একজন বেকার হয়ে থাকেন বা ব্যবসা করার আইডিয়া খুঁজছেন তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কেননা এই আর্টিকেলে আজকে আলোচনা করব অল্প পুঁজিতে ২০টি লাভজনক ব্যবসা করার আইডিয়া সম্পর্কে। যে ব্যবসা গুলো করে আপনি ঢ্য শুরু করা যাক। 

সূচনা:  অল্প পুঁজিতে ২০টি লাভজনক ব্যবসা করে কোটিপতি হন

আমাদের মধ্যে অনেকের একটা ধারণা রয়েছে যে ব্যবসার জন্য প্রচুর টাকা প্রয়োজন হয়। এই চিন্তা করে আমাদের ব্যবসা করার ইচ্ছে থাকলেও ব্যবসার উদ্যোগ গ্রহণে সাহস পায় হয় না। কিন্তু তারা এটা জানেন না যে দক্ষতা পরিশ্রম সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনের ক্ষমতাকে পুঁজি করে আপনি যেকোনো ব্যবসা করতে পারবেন। 

ছবি

অনেক পুঁজির পরিবর্তে অল্প পুঁজিতে ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে এই আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে। এই আর্টিকেলে আজকে ২৫ টি অল্প পুঁজিতে ব্যবসা করার আইডিয়া নিয়ে আলোচনা করব। অল্প পুঁজি ব্যবহার করে দক্ষতা এবং সততাকে পুঁজি করে আপনিও সফল হতে পারবেন।

আসুন এক নজরে দেখে নেই অল্প পুঁজিতে ২০টি লাভজনক ব্যবসা কি কি? 

১. ব্লগ বিজনেস

২. কফিশপ 

৩. অনলাইন সেবা ব্যবসা

৪. ট্রাভেল এজেন্সির বিজনেস

৫. আইসক্রিমের ব্যবসা

৬. ডেলিভারি ব্যবসা

৭. মোবাইল রিচার্জ/ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসা

৮. মোবাইল/কম্পিউটার মেরামত ব্যবসা

৯. ই-কমার্স ব্যবসা

১০.  হারবাল পণ্য বিক্রি

১১. পোশাক বিক্রি

১২. ফুড বিজনেস

১৩.গুদাম ভাড়া ব্যবসা

১৪. ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ব্যবসা

১৫. কাজের লোক সাপ্লাই সার্ভিস

১৬. প্রিন্ট অন ডিমান্ড বিজনেস

১৭. ফুচকার দোকান

১৮. চাইল্ড কেয়ার সেন্টার

১৯. ফুলের ব্যবসা

২০. ওয়েবসাইট তৈরি করা

অল্প পুঁজিতে ব্যবসার আইডিয়া    

১. ব্লগ বিজনেস

অল্প পুজিতে অধিক লাভজনক ব্যবসা গুলোর মধ্যে একটি অন্যতম ব্যবসা হচ্ছে ব্লগ বিজনেস। ব্লগিং যে একটা বিজনেস এ কথা বললে অনেকে হয়তো বুঝবে না। আর যারা ব্লগিং করেন তারা মনে করেন একমাত্র গুগল এডসেন্সিই আয়ের একমাত্র পথ। আপনি একটি ব্লগ মনিটাইজ করলেন তারপর দেখবেন প্রতি মাসে আপনার ব্লগে বা আপনার ওয়েবসাইটে ১লাখ ভিজিটর আসে। 

এই ১ লাখ ভিজিটর আপনার সম্পদ। এই ভিডিওটা গুলোর একটা অংশকে আপনি আপনার গ্রাহক তৈরি করতে পারবেন। আপনার ওয়েবসাইটে ব্লগার ব্লগের পাশাপাশি আপনি আপনার পণ্যকে প্রমোট করবেন। সেসব পণ্য নিজেরা কিনবে এবং আপনার ব্যবসা ডবল হবে। তাই আপনি একটি ডোমেন হোস্টিং কিনে নিয়ে একটি ওয়েবসাইট গুলো করতে থাকবেন।

আরো পড়ুনঃ কীভাবে ছাত্র অবস্থায় আয় করা যায়-শিক্ষার্থীদের ইনকাম করার ১৫টি উপায়

২. কফিশপ

একটা সময় ছিল যখন মানুষ শুধুমাত্র চা পান করত। কিন্তু বর্তমানে মানুষের আয় ভাড়ার সাথে সাথে চাহিদারও পরিবর্তন হয়েছে। বর্তমানে অনেকেই চার পরিবর্তে কফি খাচ্ছে। তাই দিন দিন কবে প্রেমের সংখ্যাও বাড়ছে। এখানে অল্প পুঁজি ব্যবহার করে আপনি একটি কফের সব দিতে পারেন।

প্রথমদিকে কম বুঝি হলে ছোট একটা স্পেস ভাড়া করে সেখানে কিছু চেয়ার টেবিল পেতে কফির ব্যবসা শুরু করতে পারেন কমার্শিয়াল জায়গা হলে ভাড়া পরিমান একটু বেশি হবে। তবে প্রচুর গ্রাহক পাবেন। আস্তে আস্তে আপনার ব্যবসা উন্নতি হবে এবং আপনি আত্মনির্ভরশীল হতে পারবেন।

৩. অনলাইন সেবা ব্যবসা

আপনি যদি অল্প টাকায় ব্যবসা করতে চান তাহলে আপনি অনলাইন সেবার ব্যবসা করতে পারেন। অনলাইন সেবা ব্যবসার জন্য আপনার খুব অল্প পরিমাণে ইনভেস্ট প্রয়োজন হবে। এই ব্যবসার জন্য আপনার একটি ছোট্ট দোকান লাগবে এবং একটি কম্পিউটার আর বসার জন্য দুটো চেয়ার হলে যথেষ্ট। অনলাইনে বর্তমানে একটি চাকরির আবেদন করলেই ৫০ টাকা আপনার সময় ব্যয় হবে মাত্র ১০ থেকে ১৫ মিনিট। এছাড়াও কাগজ প্রিন্ট করে দিলে ৫ থেকে ১০ টাকা পাচ্ছেন। পাশাপাশি আপনি ছবিও প্রিন্ট করে ইনকাম করতে পারবেন।

৪. ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসা

বর্তমান সময়ের মানুষ খুব ঘুরতে পছন্দ করে। তাই বর্তমানে ঘুরার জন্য অনেক আকর্ষণীয় জায়গা মানুষ তৈরি করেছে। যেগুলোতে মানুষ ছুটির সময় রিফ্রেশমেন্ট এর জন্য বাড়িতে না বসে থেকে ওইসব জায়গায় ঘুরতে যায়। বর্তমানে প্রতি বছর প্রায় 90 থেকে 1 লাখ পর্যটক দেশের অভ্যন্তরে পর্যটন কেন্দ্রে ভ্রমণ করে থাকে। দিন দিন পর্যটকের সংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে পর্যটন ব্যবসায় দেখা দিয়েছেন নতুন সম্ভাবনা। 

তাই অল্প টাকায় আপনি একটি খুব সহজে ট্রাভেল এজেন্সি খুলতে পারেন। এখানে খরচের পরিমাণ খুবই নগণ্য। তবে এখানে আপনাকে একটু বেশি পরিশ্রম করতে হবে আর ট্রাভেন করার মন-মানসিকতা থাকতে হবে। এই ব্যবসা গুলো করার জন্য হোটেল মালিক এবং পরিবহন কোম্পানিগুলোর সাথে আপনার ভালো যোগাযোগ থাকতে হবে যাতে সাশ্রয় মূল্য এবং সহজে আপনার গ্রামের হোটেল রুম এবং বাস বা বিমানের টিকেট ম্যানেজ করে দিতে পারেন।

৫. আইসক্রিমের ব্যবসা  

ছোট বড় সব বয়সী মানুষ আইসক্রিম খেতে পছন্দ করে। অল্প পুঁজিতে খুব সহজে আপনি এ ব্যবসা শুরু করতে পারেন। একটি দোকানে সুন্দর ভাবে বিভিন্ন ধরনের আইসক্রিম সাজিয়ে গুছিয়ে রাখতে হবে। দেখবেন কিছুদিনের মধ্যে আপনার প্রচুর গ্রাহক হয়ে গেছে। আপনি চাইলে ভ্রাম্যমান এবং স্থায়ী দুইভাবেই এই ব্যবসা করতে পারবেন।

৬. ডেলিভারি ব্যবসা

বর্তমান সময়ে দিন দিন অনলাইনে কেনাকাটার পরিমাণ বাড়ছে। অসংখ্য প্রতিষ্ঠান অনলাইনে তাদের প্রোডাক্ট বিক্রি করছে। এ সমস্ত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর অন্যতম সমস্যা হচ্ছে পণ্য ডেলিভারি সমস্যা। এজন্য পণ্য ডেলিভারি ম্যান ডিমান্ড দিন দিন বাড়ছে। আপনি চাইলে খুব কম পুঁজিতে ডেলিভারির ব্যবসা করতে পারবেন। আপনি চাইলে কয়েকজন বন্ধু মিলে একটি গ্রুপ তৈরি করতে পারেন এবং ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে চুক্তি করে ডেলিভারি চার্জ নিয়ে ব্যবসা করতে পারবেন।

৭. মোবাইল রিচার্জ/ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসা

মোবাইল রিচার্জ বা ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসা অল্প পুঁজিতে শুরু করা যায় বলে দিন দিন এই ব্যবসায় মানুষ ঝুঁকছে বেশি। এই ব্যবসার জন্য খুব একটা কিছু দরকার নেই একটা ছোট্ট জায়গায় টেবিল চেয়ার হলে যথেষ্ট। সেখানে আপনি মোবাইল রিচার্জ এর পাশাপাশি সিম ও বিক্রি করতে পারবেন। সেখানে অবশ্যই আপনাকে রকেট নগদ বিকাশ ইত্যাদি মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস রাখতে হবে। কারণ বর্তমানে এগুলো ছাড়া শুধুমাত্র ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসা তেমন জমে না।

৮. মোবাইল/কম্পিউটার মেরামত ব্যবসা

বর্তমান সময়ের অল্প পুঁজিতে অধিক লাভজনক এর একটি ব্যবসা হচ্ছে মোবাইল বা কম্পিউটার মেরামত ব্যবসা। এ ব্যবসার জন্য আপনাকে অবশ্যই মোবাইল সার্ভিসিং এবং কম্পিউটার সার্ভিসিং শিখতে হবে। কারণ এগুলো টেকনিক্যাল কাজ ট্রেনিং ছাড়া এগুলো করা সম্ভব নয়। এসব ব্যবসাতে ইনকাম প্রচুর হয়। 

ধরুন একটা মোবাইল মেরামত করতে কমপক্ষে ১০০ টাকা পাওয়া যায়। একটু জটিল সমস্যা হলে আরো কয়েকশো টাকা বেশি পাওয়া যায়। মোবাইলে থেকে কম্পিউটার মেরামতের আয় অনেক বেশি। সাধারণত একটা উইন্ডোজ সেটআপ দিতে স্থানভেদে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা পাওয়া যায়। এছাড়াও হার্ডওয়ার জনিত অভ্যন্তরীণ পূর্ণ সমস্যা হলে আরো বেশি আয় করা সম্ভব।

৯. ই-কমার্স ব্যবসা

বর্তমান সময়ে একটি জনপ্রিয় এবং আকর্ষণীয় ব্যবসার নাম হচ্ছে ই-কমার্স ব্যবসা। ই-কমার্স ব্যবসা আকর্ষণীয় হরমোন কারণ হচ্ছে অল্প পুঁজিতে ব্যবসার আইডিয়া নিয়েই ব্যবসা করা সম্ভব। এখানে আপনি খুব অল্প টাকায় আপনার ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। প্রথম জিজ্ঞাসা শুধুমাত্র ফেসবুকে একটি পেজ খুলে ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। অনেক উদ্যোক্তা আছে যারা ফেসবুকে লাইভে এসে তাদের পণ্য করছে। 

এছাড়াও কিছু অর্থ খরচ করে ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিলে আপনার বিক্রির পরিমাণ অনেক বেড়ে যাবে। এই ব্যবসা আপনি যদি দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য নিয়ে করতে চান তাহলে আপনাকে একটি নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। কারণ ওয়েব সাইটে আপনি আপনার পণ্যগুলোকে সাজিয়ে গুছিয়ে গ্রাম দেখাচ্ছে প্রদর্শন করতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ  কিভাবে কোটিপতি হওয়া যায়- রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার 15টি উপায়

১০. হারবাল পণ্য বিক্রি

বর্তমান সময়ে অনলাইন ব্যবসার একটি অন্যতম ব্যবসা হচ্ছে হারবাল পণ্য বিক্রি করা। অনেক মানুষ বর্তমানে হারবাল পণ্য বিক্রির মাধ্যমে ব্যবসা করে যাচ্ছে। হারবাল পণ্য গাছ থেকে উৎপাদিত পণ্য। হারবাল ঔষধ রূপচর্চার ক্ষেত্রে যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। এসব পণ্যে কোনো ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় না। তাই অনেকের কাছে এসব পণ্য অনেক জনপ্রিয়। তাই আপনি চাইলে অল্প পুঁজি ব্যবহার করে খুব সহজে এ ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

১১. পোশাক বিক্রি

অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া হিসেবে আপনাকে আমি সাজেস্ট করব অবশ্যই একটি পোশাকের দোকান দিতে। আপনার যদি সামর্থ্য থাকে তাহলে আপনি বাহারাতে একটু দোকান দিতে পারেন। দোকানে কর্মচারী রাখা সম্ভব না হলে নিজেই থাকবেন এতে একটু আপনার উপর প্রেসার বেশি পড়বে। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে টাকা সেভ হবে।

তাছাড়াও আপনার যদি দোকান দেওয়ার মতো ক্ষমতা না থাকে তাহলে আপনি অনলাইনে পোশাক বিক্রি করতে পারবেন। বর্তমানে অসংখ্য মানুষ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে বিভিন্নভাবে ব্যবসা করছে। অনলাইনে পোশাক বিক্রির ক্ষেত্রে একটি পেজ অথবা একটি ওয়েবসাইট থাকলে যথেষ্ট। এতে করে আপনি খুচরা সেল দিতে পারবেন এছাড়াও পাইকারি হিসেবেও ব্যবসা করতে পারবেন।

১২. ফুড বিজনেস

অল্প পুঁজিতে অধিক লাভজনক ব্যবসার মধ্যে একটি অন্যতম জনপ্রিয় ব্যবসা হচ্ছে ভোট বিজনেস। ফুড বিজনেস বর্তমানে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। বর্তমানে ফুড বিজনেস পেশায় নারী উদ্যোক্তার সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এ ব্যবসা করা অনেক সহজ। নিজের বাসায় রান্না করেই অনলাইনে বিক্রির মাধ্যমে আপনি খুব সহজে এই ব্যবসা করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি রাধুনী নিয়োগ করেও গ্রাহকদের চাহিদা পূরণ করতে পারবেন। সুতরাং অল্প পুঁজিতে ব্যবসার আইডিয়া হিসেবে ভোট বিজনেসকে অবশ্যই আপনি সামনে রাখতে পারেন।

১৩. গুদাম ভাড়া ব্যবসা

অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসার মধ্যে একটি হচ্ছে গুদাম ভাড়া ব্যবসা। আপনার বাড়ি যদি কমার্শিয়াল এরিয়ার মধ্যে থাকে তাহলে আপনার জন্য গুড পয়েন্ট। আপনি গুদাম ভারা ব্যবসা করতে পারবেন খুব সহজে। বাড়ির নিচতলা গুদাম ভাড়া দিতে পারবেন আপনার শুধুমাত্র রক্ষণাবেক্ষণে কিছু খরচ করতে হবে তা ছাড়া আর কিছুই না। এভাবে আপনি গুদাম বাড়ার ব্যবসা করে অল্প পুঁজিতেই লাভবান পারবেন।

১৪. ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ব্যবসা  

ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ব্যবসা হচ্ছে সৃজনশীল এবং মনোভাবের এবং ক্রিয়েটিভ চিন্তাভাবনার ব্যবসা।। কোনরকম ইনভেস্টমেন্ট ছাড়াই আপনি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ব্যবসা শুরু করতে পারেন। বর্তমান সময় মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হওয়ার ক্ষেত্রে নতুন নতুন চাহিদারও তৈরি হচ্ছে। এই ধরনের চাহিদা মেটানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের ইভেন্ট আয়োজন করা হয়। আর এসব ইভেন্টের দায়িত্ব পালন করাই হচ্ছে বা সেবা প্রদান করাই হচ্ছে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ব্যবসা। যেহেতু আপনার পুঁজি অল্প তাই আপনি এ ব্যবসা দিয়ে আপনার ব্যবসা জার্নি শুরু করতে পারেন।

১৫. প্রিন্ট অন ডিমান্ড বিজনেস(print on demand business) 

অল্প পুঁজিতে লাভজনক একটি ব্যবসা হচ্ছে প্রিন্ট অন ডিমান্ড বিজনেস। আপনি একটু খেয়াল করলে দেখবেন যে ব্যাগ মগ কেয়ার টি শার্ট সহ বিভিন্ন জিনিসের নানান ধরনের ছবি আঁকা থাকে। এসব ছবি সহ কাপড় মদ বা ব্যাগের ডিমান্ড অনেক বেশি। তাই যদি আপনি একজন ডিমান্ড ডিজাইনার হয়ে থাকেন তাহলে আপনার এই ব্যবসা শুরু করা খুবই সহজ ব্যাপার। আর যদি আপনি একজন ডিজাইনার নাও হয়ে থাকেন তাহলে আপনি একজন ডিজাইনার নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

১৬.ফুচকার ব্যবসাব্যবসা

অল্প পুঁজিতে অধিক লাভজনক ব্যবসা হচ্ছে ফুচকার ব্যবসা। বর্তমান সময়ে ফুচকা খেতে পছন্দ করেনা এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর ব্যাপার। ফুচকার ব্যবসাটি কফি শপের মতোই এখন একটি স্মার্ট ব্যবসা। ফুচকার ব্যবসা ছোট ব্যবসা বলে অবহেলা করা ঠিক নয়। কারণ এখানে পুঁজি লাগে না। শুধুমাত্র অল্প একটু পুঁজি দিলেই এ ব্যবসা থেকে অনেক লাভ করা সম্ভব। এই ব্যবসাটি আপনি ভ্রাম্যমাণভাবে করতে পারেন আবার স্থায়ীভাবেও করতে পারেন।

১৭. চাইল্ড কেয়ার সেন্টার(child care centre) 

অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা মধ্যে একটি অন্যতম ব্যবসা হচ্ছে চাইল্ড কেয়ার সেন্টারের ব্যবসা করা। এমন একটা সময় ছিল যখন মেয়েদের চাকরিতে অংশগ্রহণের সংখ্যা খুব নগণ্য ছিল। কিন্তু সেই যুগ আর নেই মেয়েরা এখন স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য চাকরি এবং ব্যবসায়ী অংশগ্রহণ করছে। যার কারণে চাইল্ড কেয়ার সেন্টারে চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। খুব অল্প পুঁজি সংগ্রহ করে আপনি এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আপনি চাইলে আপনার বাড়িতে একটা চাইল্ড কেয়ার সেন্টার তৈরি করতে পারেন। যেখানে শিশুরা খেলাধুলা করবে এবং যার দেখাশোনার দায়িত্ব আপনার বা আপনি নিয়োগ দিয়ে রাখবেন।

১৮. ফুলের ব্যবসা

বাংলাদেশে একটি ফুলের বড় বাজার রয়েছে। ফুল চাষিদের কেন্দ্রীয় প্লাটফর্ম বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির তথ্য মতে, বাংলাদেশে এক হাজার ছয়শ কোটি টাকার এক বিশাল ফুলের বাজার গড়ে উঠেছে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশ্ব ভালোবাসা দিবস এসব বিভিন্ন উৎসবে ফুলের চাহিদা রয়েছে ব্যাপক। তাছাড়াও সারা বছর ফোনে চাহিদা ব্যাপক থাকে। তাই আপনি ফুলের ব্যবসা খুব অল্প টাকার মাধ্যমেই শুরু করতে পারেন। একটি দোকান নিয়ে সে দোকানে ফুল কিনে দোকানের সাজিয়ে রাখবেন। ফুলের ব্যবসায় লাভের পরিমাণ অনেক বেশি।

১৯. ওয়েবসাইট তৈরি করা

বর্তমান সময়ে অল্প পুঁজিতে ব্যবসা করার একটি কার্যকরী ব্যবসার আইডিয়া হচ্ছে ওয়েবসাইট তৈরি করা। বর্তমানে প্রতিটি কোম্পানির জন্য তার নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরি করছে। শুধুমাত্র কোম্পানি নয় ব্যাগটি পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট তৈরি করার হিড়িক পড়ে গেছে। অনেক মানুষ তার ভবিষ্যতের জন্যই ওয়েবসাইট তৈরি করছে। 

আপনি যদি একজন ওয়েব ডেভলপার হয়ে থাকেন তাহলে এই ব্যবসা আপনি খুব অল্প সময়ে অল্প পুজিতে অল্প পরিশ্রমে শুরু করতে পারেন। ওয়েবসাইট ডেভলপার হওয়া কোন কঠিন কিছু না। আপনি বিভিন্ন ধরনের ওয়েব ডেভলপার কোর্স করে ওয়েব ডেভলপার হতে পারবেন। বিজ্ঞাপন প্রচার করে এবং ইমেল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি আপনার কাস্টমার জোগাড় করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আপনার কাস্টমারের কোন অভাব হবে না। আপনি চাইলে আপনার ব্যবসার জন্য এই আইডিয়াটাও নিতে পারবেন। 

আরো পড়ুনঃ মেয়েদের ঘরে বসে রোজগারের উপায়-মেয়েদের ইনকাম ২০২৪

মন্তব্য: অল্প পুঁজিতে ২০টি লাভজনক ব্যবসা করে কোটিপতি হন

সম্মানিত পাঠক আশা করছি এই আর্টিকেলটি পড়ার পর আপনার অনেক ব্যবসা সম্পর্কে ধারণা চলে এসেছে যেগুলো আপনি অল্প পুঁজিতে শুরু করতে পারবেন সেগুলো সম্পর্কে। ব্যবসা শুরু করার জন্য মূলত খরচের পরিমাণটা এলাকাভেদে ভিন্ন হয়ে থাকে। যেমন আপনি যদি শহরকেন্দ্রিক ব্যবসা করতে যান তাহলে আপনার স্থানের ভাড়া বেশি লাগবে তাছাড়া আপনি যদি গ্রামে ব্যবসা করতে চান তাহলে আপনার স্থানের ভাড়া টা কম লাগবে। 

ধরুন শহরে একটি জায়গার ভাড়া হতে পারে বিশ হাজার টাকা এবং গ্রামে হতে পারে ১০ হাজার টাকা। সুতরাং স্থান ভেদে আপনার বিনিয়োগের পরিমাণ কম বেশি হতে পারে। তবে অবশ্যই মাথায় রাখবেন বিনিয়োগের পরিমাণ বেশি হলে ইনকামের পরিমাণও বেশি হবে।

শেষের কথা 

সম্মানিত পাঠক বন্ধু সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে আশা করছি ব্যবসা গুলোর আইডিয়া নিতে পেরেছেন। সম্মানিত পাঠক আপনি কোন ব্যবসায়ী দিয়ে শুরু করতে চাচ্ছেন অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিবেন। সম্মানিত পাঠাও আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি। আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন এবং আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে থাকবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url