আফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য যে বিষয়গুলো জানা জরুরী
আফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য যে বিষয়গুলো জানা জরুরী
সম্মানিত পাঠক আসসালামুয়ালাইকুম। আমাদের এই আর্টিকেলে আপনাকে স্বাগতম। আমরা এই আর্টিকেলে আলোচনা করব মার্কেটিং সম্পর্কে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার সেসব পদ্ধতি গুলো রয়েছে সেসব পদ্ধতি গুলো সম্পর্কে এই আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করব। আশা করি আপনি যদি একজন এফিলিয়েট মার্কেটার শুভাকাঙ্ক্ষী বা এফিলিয়েট মার্কেটিং প্রত্যাশী হয়ে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। অবশ্যই শেষ পর্যন্ত পড়বেন।
পোস্ট সূচিপত্র: আফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য যে বিষয়গুলো জানা জরুরী
- আ্যফিলিয়েট মার্কেটিং কি?
- এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মূলমন্ত্র কি?
- এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কি কি করতে হয়
- আ্যফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার জন্য কি কি প্রয়োজন?
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবেন?
- কিভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন?
- মন্তব্য
আ্যফিলিয়েট মার্কেটিং কি?
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শব্দটির সাথে সম্পৃক্ত হলো কোন পণ্য বেচাকেনা করা বা কোন পণ্যের প্রচার করা। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো এক ধরনের পণ্য ভিত্তিক মার্কেটপ্লেস যেমন amazon ক্লিক ডিলার ইম্প্যাক্ট বা অন্য কোন কোম্পানি যারা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং চালু রেখেছে।
আ্যফিলিয়েট মার্কেটিং এর কমিশন পাওয়া যায় মূলত প্রোডাক্ট বিক্রি করে। আপনি কোন একটি অ্যাফিলিয়েট কোম্পানির সাথে যুক্ত হয়ে সেই কোম্পানির প্রোডাক্ট প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে সেল করে যে আরনিং কোম্পানি পাবে সে আর্নিং এর কিছু পার্সেন্ট কমিশন আপনি পাবেন।
আরো পড়ুনঃ ফ্রিল্যান্সিং কি?? ফ্রিল্যান্সিং গাইডলাইন সম্পর্কে জেনে নিন
এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মূলমন্ত্র কি?
একিলিয়েট মার্কেটিং ধনী হওয়ার কোন স্কিম নয় একটি সফল এফিলিয়েট মার্কেটিং এর চ্যাম্পিয়ন তৈরি করতে অনেকটা সময় লাগে প্রচেষ্টা লাগে এবং ধৈর্য লাগে। সঠিক প্রয়োগ কৌশল করতে হয়। এই সেক্টর থেকে আই পড়ার মূল্যবান উৎস হচ্ছে সঠিক কৌশল প্রয়োগ করা।
এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কি কি করতে হয়
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য প্রথমেই আপনাকে একটি অনুমোদিত মার্কেটপ্লেস বেছে নিতে হবে। যেটা আপনার মূল্যবোধের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় এবং বাজারে এর ডিমান্ড বেশি আছে এমন একটি মার্কেট প্লেসে সন্ধান করতে হবে। মার্কেটপ্লেস গুলো তার পণ্য বা পরিষেবার জন্য একটা ভালো কমিশন প্রদান করে থাকে। আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে যে এই মার্কেটপ্লেসটি কেমন কমিশন প্রদান করে থাকে। কারণ এটিই নির্ধারণ করে দেবে যে আপনি একজন এফিলিয়েট হিসাবে কত টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
আপনি আপনার এফিলিয়েট পণ্য প্রচারের জন্য প্লাটফর্ম বাছাই করতে চাইবেন তবে আমার সাজেস্ট থাকবে কিছু জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া হচ্ছে ব্যক্তিগত ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করা, সোশ্যাল মিডিয়া এবং youtube ভিডিও তৈরি করে মার্কেটিং করা। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল একটা গ্রাহকের সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরি করা। মনে রাখতে হবে যে এফিলেন্ট মার্কেটিং করার জন্য আপনাকে যেকোনো পণ্য পরিষেবা দিতে হবে। পণ্য পরিষেবা গুলো গ্রহণ করবে। আপনার গ্রাহক সুতরাং অবশ্যই সঠিক কৌশল এবং ধৈর্য ধারণ করতে পারলেই আপনি এখানে সফল হবেন।
আ্যফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার জন্য কি কি প্রয়োজন?
এফিলিয়েট মার্কেটিং এর ক্যারিয়ার শুরু করার জন্য আপনার রোমাঞ্চকর এবং ফলস্বরূপ অভিজ্ঞতা হতে পারে। তবে কিছুটা ভয়ংকরও হতে পারে। একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে পণ্য প্রমোট করে যে আপনি হাজার হাজার ডলার ইনকাম করবেন এমনটা আশা করা ঠিক নয়। এখানে কৌশল, জ্ঞান এবং উত্সর্গের একটি নির্দিষ্ট স্তর রয়েছে। তবে চিন্তার কোন কারণ নেই। আমার কিছু নির্দেশনা ফলো করে আপনি বাড়িতে বসেই প্রতি মাসে একটা প্যাসেড উপার্জনের পর তৈরি করতে পারবেন।
প্রথমে আপনাকে একটি মার্কেট প্লেস চয়েস করতে হবে। আপনার পছন্দমতো মার্কেটপ্লেস নির্ধারণ করুন। এমন মার্কেটপ্লেস বাছাই করা দরকার যেটাতে আপনি আগ্রহ এবং আপনার সেটা সম্পর্কের প্রচুর জ্ঞান রয়েছে। এটি শুধু বিষয়বস্তু তৈরীর প্রক্রিয়াকে সহজ করবে না এটি আপনার ওয়েবসাইটকে একটি খাঁটি ওয়েবসাইট হিসেবে বিশ্বের দরবারে উপলব্ধি করাবে। মনে রাখবেন একটা ভালো ওয়েবসাইট একটা ভালো পোশাকের থেকেও দামি।
সম্মানিত পাঠক উপরে আমরা জানলাম এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য একটি পছন্দ মতো এফিলিয়েট মার্কেট প্লেস নির্বাচন করতে হবে। তারপর সেই হিসাবে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। এছাড়াও আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে। তার মধ্যে এটি হল ভিত্তি। মনে রাখবেন, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কোন ম্যারাথন দৌড় নয়। সুতরাং, আপনি সময় নিন এবং সময় দিন - গবেষণা করুন, এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে, এটির সাথে লেগে থাকুন!
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য আপনি আগে থেকে প্রস্তুতি নিন। এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার কার্যকরী পদ্ধতি সম্পর্কে জানুন, আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার দক্ষতা অর্জন করুন।সম্মানিত পাঠক আমরা মূল বিষয়গুলো সম্পর্কে জানলাম। এ পর্যায়ে জানবো আরো একটি বিশদ গুরুত্বপূর্ণ বিস্তারিত আলোচনা। নিচের নিবন্ধনটি পড়ে আপনি বুঝতে পারবেন এফিলেট মার্কেটিং করার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। চলুন দেরি না করে শুরু করি।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবেন
নিশ(nich) নির্বাচন করুন
নিশ নির্বাচন করা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনি যদি সঠিক মিস বাছাই করতে না পারেন তাহলে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সফল হবেন না। তাই আপনাকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার আগে অবশ্যই সঠিক নিশ নির্বাচন করতে হবে।
কীওয়ার্ড রিসার্চ করুন
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল কিওয়ার্ড রিসার্চ করা। আপনাকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সফল হতে হলে অবশ্যই সঠিক কিওয়ার্ড গবেষণা করতে হবে। সঠিক কিওয়ার্ড গবেষণা ব্যতিত আপনি কখনোই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সফল হতে পারবেন না। তাই আপনি যদি এই সেক্টর সফলতা চান তাহলে অবশ্যই সঠিকভাবে কীওয়ার্ড রিসার্চ করুন।
সঠিক প্ল্যাটফর্ম তৈরি করুন
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য আপনাকে অবশ্যই সঠিক একটা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে হবে। সঠিক প্লাটফর্ম হিসেবে হতে পারে ব্লগিং, ইউটিউব, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ইত্যাদি। আপনাকে যেকোন একটি প্ল্যাটফর্ম সেটআপ করতে হবে যার সাহায্যে আপনি এফিলিয়েটের লিঙ্ক প্রচার করতে পারবেন বা মার্কেটিং করতে পারবেন।
প্রয়োজনীয় সামগ্রী তৈরি করুন
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য আপনাকে প্রয়োজনীয় পেশাদার মানের সামগ্রী তৈরি করতে হবে। কারণ প্রয়োজনীয় এবং শিক্ষামূলক বিষয়বস্তু সবার প্রয়োজন। তাই আপনাকে এ ধরনের কনটেন্ট তৈরি করে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হবে।
অ্যাফিলিয়েট সাইট নির্বাচন করুন
আপনি কোন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর বিভিন্ন ধরনের সাইট রয়েছে। আপনি যে সাইটে কাজ করতে সচ্ছন্দ বোধ করবেন যে সাইট পছন্দ করবেন সেই সাইট নিয়ে আপনাকে কাজ করতে হবে।
পণ্য নির্বাচন
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং মূলত পণ্য বিক্রয়ের কাজ। অর্থাৎ এফিলিয়েট মার্কেটিং প্লাটফর্মের তাদের পণ্য বিক্রয় করে আপনি কমিশন পাবেন। তাই অবশ্যই আপনাকে পণ্য নির্বাচন করতে হবে। কারণ আপনি সঠিক পণ্যনির্বাচন না করতে পারলে এফিলিয়েট মার্কেটিং আপনার পক্ষে কঠিন হয়ে যাবে।
আরো পড়ুনঃ অনলাইন ইনকাম কি? অনলাইনে ইনকাম করার সহজ ৮টি উপায়
কিভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন?
সম্মানিত পাঠক এই পর্বে জানব কোন কোন সাইডের মাধ্যমে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন এবং কিভাবে করবেন এ বিষয়ে। চলুন জেনে নেই।
ব্লগিংঃ
ব্লগিংয়ের মাধ্যমে আপনি খুব সহজে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন। আপনি আপনার ব্লগ সামগ্রীতে প্রাসঙ্গিক অধিভুক্ত লিংক স্থাপন করতে পারবেন। ধরুন আপনি একটি ব্লগার ওয়েবসাইট তৈরি করলেন। সে ওয়েবসাইটে মানুষের প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো নিয়ে আর্টিকেল লিখলেন।
সে আর্টিকেল গুলো পড়ার জন্য মানুষ আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করবে। পাশাপাশি যখন দেখতে পাবে কোন একটা পণ্যের প্রোডাক্ট এর বিজ্ঞাপন তখন মানুষ সে বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে আপনার প্রোডাক্ট ক্রয় করবে। এভাবে আপনি ব্লগার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বা ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন।
ইউটিউব মার্কেটিং
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হচ্ছে ইউটিউব মার্কেটিং। ইউটিউব মার্কেটিং করে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন। ইউটিউবে একটি চ্যানেল ক্রিয়েট করে সেই চ্যানেলে মানুষের দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে কন্টেন্ট তৈরি করলেন। সেই কনটেন্ট গুলো মানুষ তাদের প্রয়োজনে দেখবে। এবং আপনি আপনার কনটেন্টের বিজ্ঞাপন প্রচার করবেন। মানুষের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সে বিজ্ঞাপন থেকে মানুষ ক্রয় করবে। এভাবে আপনি ইউটিউব এর মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অনেক মানুষ এফিলিয়েট মার্কেটিং করছে। ফেসবুক টুইটার ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদি সোশ্যাল সাইড রয়েছে। যে সাইটগুলোতে আপনি আপনার এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করতে পারবেন।
মন্তব্য: আফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য যে বিষয়গুলো জানা জরুরী
সম্মানিত পাঠক আশা করি এই আর্টিকেল টিভি সম্পূর্ণ পড়ে আপনি এফিলেট মার্কেটিং সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা অর্জন করতে পেরেছেন। আপনি যদি একজন মার্কেটিং প্রত্যাশী হয়ে থাকেন বা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর পরিকল্পনা থাকে তাহলে এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন। সম্মানিত পাঠাও আর্টিকেলটি অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে দিবেন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url