এইডস এর লক্ষণসমূহ কি কি-এইডস আক্রান্ত রোগীর খাবার
এইডস এর লক্ষণসমূহ কি কি-এইডস আক্রান্ত রোগীর খাবার
সম্মানিত পাঠক আসসালামু আলাইকুম। আশা করি আল্লাহর রহমতে ভাল আছেন। আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে আরো একবার স্বাগতম। সম্মানিত পাঠক বন্ধু আমরা এই আর্টিকেলে আলোচনা করব এইডস এর লক্ষণ সমূহ নিয়ে। এছাড়াও এইডস আক্রান্ত রোগীর পরিচর্যা এইডস আক্রান্ত রোগীর খাবার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে এই আর্টিকেলে। আর্টিকেলটি আশা করি আপনার জন্য খুব উপকারী হবে। তো শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্র: এইডস এর লক্ষণসমূহ কি কি-এইডস আক্রান্ত রোগীর খাবার
- সূচনা
- এইডস কী?
- এইডস হওয়ার কারণ সমূহ-কেন এইডস হয়
- এইডস কিভাবে ছড়ায়
- এইডস রোগের লক্ষণসমূহ কি কি
- এইডস কোন ব্যক্তির দেহে প্রবেশের সময়কার লক্ষণ
- এইডস আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা কীভাবে শুরু করবেন
- এইডস আক্রান্ত রোগীর খাবার
- মন্তব্য
সূচনা: এইডস এর লক্ষণসমূহ কি কি-এইডস আক্রান্ত রোগীর খাবার
সম্মানিত পাঠক বন্ধু এইডস একটি মরণব্যাধি ঘাতক। এইডস আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু অনিবার্য। তবে এইডস রোগে আক্রান্তদের সেবা এবং পরিচর্যার মাধ্যমে অনেকদিন বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব। তাছাড়া এইডস আক্রান্ত রোগের বিভিন্ন খাবার-দাবারের উপর গুরুত্ব দিয়ে এইডস আক্রান্ত রোগীর সেবা এবং পরিচর্যা করা যায়। সম্মানিত পাঠক artical আলোচনা করব আক্রান্ত রোগীর পরিচর্যা এবং খাবারের বিষয় এছাড়াও এইডস আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে করণীয় সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
আরো পড়ুনঃ ফুসফুস সুস্থ রাখতে যা করবেন। ফুসফুস পরিষ্কার রাখার উপায়।
এইডস কী?
সম্মানিত পাঠক আমরা প্রথমে জানব এইডস আসলে কি? এইডস হলো, একোয়াট ইমিউনো ডেফিসিয়েন্সি সিনড্রম(aquired immune deficiency syndrome) যাকে সংক্ষেপে এইডস বলা হয়। এটি একটি ভাইরাসের আক্রমণের কারণে হতে পারে। এই ভাইরাসকে আমরা বলি এইচআইভি(IMMUNE DEFICIENCY VIRUS)=HIV ভাইরাস। এইচআইভি মানে ইমিউনো ডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস।
এইডস হওয়ার কারণ সমূহ-কেন এইডস হয়
আমরা এজ সম্পর্কে জানলাম এবার জানব এইডস এর কারন সমূহ কি কি। কি কি কারনের জন্য এইডস হয়ে থাকে। এইডস রোগের কারণগুলোর মধ্য প্রথমে যেটা বলবো, সেটা হলো-
#অনিরাপদ যৌন সম্পর্ক
এইচআইভি আক্রান্ত রবির সঙ্গে যদি কোন অনিরাপদ যৌন সম্পর্ক হয়ে যায় তাহলে যার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক হয়েছে সেও এই এইচআইভি রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
#অনিরাপদ রক্ত শরীরে প্রবেশ ঘটানো
এডস রোগের আরও একটি অন্যতম কারণ হতে পারে অনিরাপদ রক্ত শরীরে প্রবেশ ঘটানো। অর্থাৎ কোন এইডস রোগা আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত যদি একজন মানুষকে দেওয়া হয় তাহলে, সেও এইডস রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
#মাদকদ্রব্য সেবন
এইডস রোগের আরেকটি কারণ হতে পারে মাদকদ্রব্য সেবন। মাদকদ্রব্য সেবনের কারণে অনেকে এইডস রোগে আক্রান্ত হয়।
#এইডস আক্রান্ত মায়ের দুধ শিশুপান করলে
আরেকটি হল এইডস আক্রান্ত কোন মায়ের দুধ যদি বাচ্চা খায় তাহলে সে মায়ের থেকে বাচ্চা ও আক্রান্ত হতে পারে।
এইডস কিভাবে ছড়ায়
এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা বেশিরভাগ ঘটে থাকে অরক্ষিত বা অনিরাপদ যৌন মিলনের কারণে।বায়ু, জল, খাদ্য অথবা সাধারণ ছোঁয়ায় বা স্পর্শে এইচআইভি ছড়ায় না। এইচআইভি মানবদেহের কয়েকটি নির্দিষ্ট তরল পদার্থে (রক্ত, বীর্য, বুকের দুধ) বেশি থাকে। এর ফলে, মানব দেহের এই তরল পদার্থগলো আদান-প্রদানের মাধ্যমে এইডস রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
এইডস রোগের লক্ষণসমূহ কি কি
এইডস রোগের লক্ষণগুলো তেমনভাবে প্রকাশ পায় না। যদিও বেশিরভাগ লক্ষণ গুলো অনেক পরে প্রকাশ পায়। দেখা গেছে এই রোগটি প্রকাশ পেতে 8 থেকে 10 বছর সময় লাগে। কেউ যদি ডাক্তারের কাছে যায় এবং পররক্ষিত যৌন মিলনের কথা বলে তাহলে, তাড়াতাড়ি রোগ নির্ণয় করা সহজ হয়।
তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে লক্ষণগুলো প্রকাশ না পাওয়ার কারণে রোগ নির্ণয় করতে অনেক দেরি হয়ে যায়। মায়ের দুধ পান করার কারণে যদি সন্তান এইচআইভি রোগে আক্রান্ত হয় তাহলে বাচ্চাদের স্ক্রিনিং করা হয়। যদি বাচ্চা নেগেটিভ হয় তাহলে তাদের কোন ঝুঁকি থাকে না।
এইডস কোন ব্যক্তির দেহে প্রবেশের সময়কার লক্ষণ
কোন ব্যক্তির দেহে এইডস প্রবেশের সময় ব্যক্তির জ্বর হয়ে থাকে, ডায়রিয়া হয়ে থাকে, অনেকদিন ধরে বিভিন্ন রোগের সংক্রমণ দেখা দেয় ব্যক্তির হঠাৎ করে ওজন কমে যায়। সে ক্ষেত্রে ডাক্তাররা বুঝতে পারে যে সেই ব্যক্তির ও নিরাপদ যৌন সম্পর্ক রয়েছে। অথবা সে মাদকদ্রব্য গ্রহণ করে। এমনও হতে পারে ডাক্তাররা মনে করে এসে সার্জারি করেছে তার হয়তো রক্ত নেওয়ার কোন ইতিহাস রয়েছে। এ ধরনের লক্ষণ দেখে বুঝতে পারে যে তার এইডস হয়েছে।
এইডসে আক্রান্ত রোগীর জন্য ডাক্তারি পরামর্শ
এইডস আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা অন্যান্য রোগীদের চিকিৎসা থেকে আলাদা। সে ক্ষেত্রে এই রোগটি সম্পর্কে যেন অন্য কেউ জানতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখার দরকার। কেননা রোগের মানসিক বিষয়টাও খেয়াল রাখা উচিত। যদি এইচআইভি নেগেটিভ হয় তাহলে তার জন্য পরামর্শ হচ্ছে যে কাজগুলো করলে এইডস হয় সেই কাজগুলো এড়িয়ে চলা।
এবং এইচআইভি পজিটিভ হলে জরুরি ভাবে চিকিৎসা শুরু করতে হবে। বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার জন্য সরকার বিভিন্ন সেন্টার দিয়েছে। যেমন- ঢাকার মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল, ঢাকার বাইরে কুমিল্লা মেডিকেল, কক্সবাজার মেডিকেল, সিলেট মেডিকেল, মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল, বরিশাল মেডিকেল কলেজ, বগুরা মেডিকেল কলেজ ও খুলনা মেডিকেল কলেজে এইচআইভি নির্ণয়ের এবং চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা সরকারিভাবে করা রয়েছে।
এইডস আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা কীভাবে শুরু করবেন
এইডস আক্রান্ত রোগের চিকিৎসা ডাক্তাররা প্রথমত শুরু করে কাউন্সিলিং করে। প্রথমে রোগীকে মানসিকভাবে তৈরি করা হয় কারণ এই রোগের আসলে কোন প্রতিকার নেই। তবে ওষুধের মাধ্যমে ভালোভাবে জীবন যাপন করা সম্ভব। এজন্য তাকে মানসিকভাবে তৈরি করা অত্যন্ত জরুরী।
এইডস আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা
এইডস আক্রান্ত রোগীর প্রথম চিকিৎসা হচ্ছে তাকে মানসিকভাবে তৈরি করা। যেমন মানসিকভাবে তৈরি করতে হবে তার পাশাপাশি পরিবার এবং আত্মীয়-স্বজনদের ও সহযোগিতা করা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এইডস আক্রান্ত রোগীর প্রধান সমস্যা হল সামাজিক বাধা। তাই রহিলে মানসিকভাবে তৈরি করতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম অনুসারে, বিভিন্ন ওষুধ দেওয়া হয়। যেমন : জিডোবোডিন, ল্যামিবোডিন, নেভিরাপিন, টেনোফোবিন ইত্যাদি।
এইডস আক্রান্ত রোগীর অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা
এইডস আক্রান্ত রোগীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। আক্রান্ত রোগীর বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। শ্বাসকষ্টের রোগ, ডায়রিয়া বেড়ে যায়।
এইডসে আক্রান্ত রোগের খাবার পাত্র পোশাক ব্যবহার করা যাবে কি?
সম্মানিত পাঠক আমি যে বিষয়গুলো প্রথমে আলোচনা করেছি সেগুলো ছাড়া আসলে এইচআইভি আক্রান্ত হওয়ার আর কোনো কারণ নেই। হেডস আক্রান্ত রোগীকে যদি মশাই কামড় দেয় সেই মশা পড়ে যদি অন্য কাউকে কামড় দেয় তাহলে এইডস হবে না। একজনের পোশাক আর একজন পড়লে এইডস হয় না। উপরে আমি যে তিনটি কারণ বলেছি, এই তিনটির বাইরে অন্য কোন কারণে এইচআইভি ভাইরাস ছড়ায় না।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় বুক জ্বালাপোড়া ভাবের ঘরোয়া প্রতিকার
এইডস আক্রান্ত রোগীর খাবার
এইডস রোগে আক্রান্ত হওয়া রোগীদের খাবার দাবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সংক্রমনের মুহূর্ত থেকে তাদের জীবন উল্লেখ্য প্রভাবে পৃথক হয়। এছাড়াও এই আক্রান্ত রোগীদের সাথে অন্যান্য প্রাণীদের যোগাযোগ সীমাবদ্ধকরণ সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত পাশাপাশি তাদের ডায়েটসহ অনেকগুলো নিয়ম মেনে চলতে হয়।
একটি বিষয় মনে রাখা জরুরি যে এই আক্রান্ত রোগীদের ডায়েট গুলো মেনে চলা উপকারী নয় যেহেতু এ সময় শরীরের জন্য আগের চেয়েও আরো বেশি পরিমাণে ভিটামিন এবং পদার্থের প্রয়োজন হয়।এজন্য খাবারের ভারসাম্য ও ক্যালোরি বেশি হওয়া উচিত। সমস্ত খনিজ, ফাইবার এবং তরল এতে উপস্থিত থাকতে হবে, কারণ অপুষ্টির কারণে স্বাস্থ্য খারাপ হতে পারে। এইডস আক্রান্ত রোগীদের সব ধরনের মাংস খাওয়া উপকারী যেমন- গরুর মাংস, শুয়োরের মাংস, মুরগি, মেষশাবক।
আপনার ডায়েটে রান্না করা মাছগুলি প্রবর্তন করাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। শেলফিস এবং সুশী (কাঁচা মাছের সাথে) পাস্তুরিত দুধ এবং পাস্তুরিত দুধ থেকে তৈরি দুগ্ধজাত পণ্যগুলি দরকারী, যেহেতু এই পানীয়টিতে 100 টিরও বেশি দরকারী পদার্থ রয়েছে, পাশাপাশি বি ভিটামিন, পটাসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম সহ অ্যামিনো অ্যাসিড। সেদ্ধ ডিমগুলি ব্যবহারে দরকারী, কারণ এগুলিতে না শুধুমাত্র ক্যালোরি এবং পুষ্টিকর পরিমাণ থাকে তবে এতে প্রচুর ভিটামিন (এ, বি, সি, ডি, এইচ, পিপি, কে) এবং ট্রেস উপাদান রয়েছে।
আপনার ডায়েটে বিভিন্ন ধরণের সিরিয়াল যুক্ত করা গুরুত্বপূর্ণ, উদাহরণস্বরূপ, বকুইট, ওটমিল, বার্লি, বাজরা ইত্যাদি, কারণ তারা শরীরকে পুষ্টিকর করে।আমাদের অবশ্যই তরল সম্পর্কে ভুলে যাওয়া এবং এর ব্যবহার সীমাবদ্ধ করা উচিত নয়। ফলের রস, কমপোটস, সিরাপগুলি উপযুক্ত, কারণ তারা ভিটামিন এবং খনিজগুলি দিয়ে শরীরকে পরিপূর্ণ করে দেয়।
এই সময়কালে, বিভিন্ন ধরণের বাদাম বিশেষত কার্যকর হবে, যেহেতু এগুলিতে উচ্চ পরিমাণে ক্যালোরি থাকে এবং তদ্ব্যতীত,
মন্তব্য: এইডস এর লক্ষণসমূহ কি কি-এইডস আক্রান্ত রোগীর খাবার
সম্মানিত পাঠক বন্ধ হোক আর্টিকেলটি বুঝতে আশা করি আপনার কোন সমস্যা হয়নি। আশা করি আপনি এর সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পেরেছেন। সম্মানিত পাঠক বন্ধু আমরা অবশ্যই উপরের নিয়ম কানুন গুলো মেনে চলবো। আর্টিকেলটি পরে ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url