কুরবানী করার শর্তাবলী-কিভাবে কুরবানী করতে হয় জেনে নিন
কুরবানী করার শর্তাবলী-কিভাবে কুরবানী করতে হয় জেনে নিন
মুসলমান ধর্মালম্বীদের জন্য কোরবানির ঈদ হচ্ছে দ্বিতীয় ঈদ। আরবি ভাষায় এটিকে ঈদুল আযহা বলা হয়। ঈদুল আযহাকে বাংলায় আমরা কোরবানির ঈদ বলে থাকি। কেননা এই ঈদে কোরবানি করা হয় আল্লাহ তাআলার নির্দেশে। তাই এটি বাংলা ভাষায় কোরবানি ঈদ নামে পরিচিত। কোরবানি সম্পর্কে অনেকেরই অজানা বিষয় থাকে যে কোরবানি কিভাবে করতে হয় বা কোরবানি করার শর্তাগুলি কি কি? যদি এই প্রশ্নটি আপনার মাঝেও থাকে তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্যই। সুতরাং অবশ্যই আর্টিকেলটি পড়বেন আশা করি অনেক সঠিক তথ্য পেয়ে যাবেন।
পোস্ট সূচিপত্র: কুরবানী করার শর্তাবলী-কিভাবে কুরবানী করতে হয় জেনে নিন
- ভূমিকা
- কুরবানির শব্দের উৎপত্তি
- কুরবানির নিয়মাবলী
- কুরবানি বিশুদ্ধ হওয়ার শর্তসমূহ
- কুরবানির জন্য আরও যেসব শর্তাবলী গুরুত্বপূর্ণ
- কোন দিন কুরবানির করতে হয়
- কোরবানির পশু জবাইয়ের নিয়ম
- কুরবানীর পশু জবাইয়ের মুস্তাহাব
- পশু কোরবানির করার দোয়া
ভূমিকা: কুরবানী করার শর্তাবলী-কিভাবে কুরবানী করতে হয় জেনে নিন
মহান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে কুরবানী হচ্ছে এক বিশেষ নেয়ামত। কেননা মহান আল্লাহ তাআলার নিকটবর্তী হওয়ার অন্যতম একটি মাধ্যম হল কোরবানি। সম্মানিত পাঠক আল্লাহর নৈকত লাভের এই মাধ্যম কোরবানির নিয়মাবলী অর্থাৎ কুরবানীর শর্তাবলী কি কি এবং কোরবানি কিভাবে করতে হয় এ সম্পর্কে এই আর্টিকেল আলোচনা করব। আর্টিকেলটি অবশ্যই শেষ পর্যন্ত পড়বেন।
কুরবানির শব্দের উৎপত্তি
কুরবান শব্দটি কুরবুন শব্দ থেকে উৎপত্তি হয়েছে। এর অর্থ নিকটবর্তী হওয়া, সান্নিধ্য লাভ করা। যেহেতু আল্লাহর নৈকট্য লাভ করার একটি অন্যতম মাধ্যম হলো কোরবানি তাই এর নাম কোরবানির ঈদ। এই ঈদকে কোরবানির ঈদ বলা হয়। এই ঈদের অপর নাম ঈদুল আযহা। যেহেতু এই দিনে কুরবানীর পশু যবেহ করা হয় তাই একে কোরবানির ঈদ বা ঈদুল আযহা বলা হয়। এই কোরবানির ঈদের বিশেষ কিছু শর্ত বা নিয়মাবলী রয়েছে। কোরবানি করার শর্ত ও নিয়মাবলী নিচে আপনাদের সাথে আলোচনা করা হবে।
কুরবানির নিয়মাবলী
কোরবানি করার ক্ষেত্রে মহান আল্লাহ তায়ালা বেশ কিছু নিয়মাবলী দিয়েছেন। যে নিয়ম অনুসারে কোরবানি করতে হয়। কুরবানী করার নিয়ম গুলো
হল-
১. কুরবানীর জন্য নির্দিষ্ট করা পশু কুরবানি ছাড়া আর অন্য কোন কাজে ব্যবহার করা যাবে না। এমনকি কাউকে দান করাও যাবে না। তাছাড়া বিক্রি করাও যাবে না। তবে কুরবানী ভালোভাবে আদায় করার জন্য এর চেয়ে উত্তম পশু দ্বারা পরিবর্তন করা যাবে।
২.যদি পশুর মালিক মারা যায় তাহলে, তার ওয়ারিশদার যারা আছে তাদের দায়িত্ব হল সেই কুরবানীকে বাস্তবায়ন করা।
৩.কুরবানীর জন্য নির্দিষ্ট করা পশুর থেকে কোন ধরনের উপকার ভোগ করা যাবে না। যেমন-পশুর দুধ বিক্রি করা, পশুকে কৃষি কাজে ব্যবহার করা, কুরবানীর পশুকে সাওয়ারি হিসেবে ব্যবহার করা, কোরবানির পশুর কসম বিক্রি করা এগুলো করা যাবে না। তবে পশুর পশম আলাদা করে সদকা করা যাবে, আলাদা করে ব্যবহার করতে পারবে কিন্তু বিক্রি করতে পারবেনা।
৪. কুরবানির মালিকের অবহেলা বা অযত্নের কারণে যদি কুরবানীর প্রসূতি দোষযুক্ত হয়ে যায় চুরি হয়ে যায় কিংবা হারিয়ে যায় তবে কুরবানীর পশুর মালিকের কর্তব্য হলো অনুরূপ বা তার চেয়ে উত্তম একটি পশু ক্রয় করা। আর যদি অবহেলা বা অযত্নে কারণে না হয় অনিচ্ছাকৃত দোষ যুক্ত হয়ে যায় তবে সেই পশু কুরবানী করা যাবে।
৫. কুরবানির জন্য নির্দিষ্ট করা পশুটি যদি চুরি হয়ে যায় আর যদি কোরবানি করা তার ওপর ওয়াজিব হয়ে থাকে তাহলে কুরবানীর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি লাভ করবে।
৬. যদি আগে থেকে কুরবানী ওয়াজিব না থাকে তার ওপর এবং সে কুরবানীর নিয়তে পরশু ক্রয় করে থাকে। তবে চুরি হয়ে গেলে, মরে গেলে বা হারিয়ে গেলে তাকে আবার পশু কিনা কুরবানী করতে হবে।
মুমিন মুসলমানের উচিত, উল্লেখিত শর্ত ও নিয়মগুলো মেনে কুরবানি করা। এগুলো প্রত্যেকের মুসলমানদের একান্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য।
আরো পড়ুনঃ ঈদুল ফিতরের ফজিলত-ঈদের দিনে করণীয় কী?
কুরবানি বিশুদ্ধ হওয়ার শর্তসমূহ
কোরবানি বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ দুইটি শর্ত। যার একটি শর্ত না থাকলে কুরবানী হবেই না। কারণ কোরবানি কোন লোক দেখানো ইবাদত নয় এটি হচ্ছে মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির জন্য এবং মহান আল্লাহ তাআলার আদেশ পালন করার জন্য কোরবানি। এটি শুধুমাত্র আল্লাহর জন্যই। কোরআন ও হাদিসের মতে কোন নেক আমল আল্লাহ তাআলার কাছে ততক্ষণ পর্যন্ত গৃহীত হয় না যতক্ষণ পর্যন্ত এই দুটি সার্থক পূরণ না হয়। এক্ষেত্রে কোরবানিও দুই হুকুমের ব্যতিক্রম নয় এই শর্ত দুটি হল:-
১. কুরবানির জন্য ইখলাস তথা একনিষ্ঠতা থাকা
কোরবানিতে একনিষ্ঠতা থাকার প্রয়োজনীয়তা কত বেশি তা কুরআনে মহান আল্লাহতালা সুস্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন। এই বিষয়ে মহান আল্লাহ তা'আলা বলেন-
‘আল্লাহর কাছে কখনো ওগুলির (কুরবানির জন্তুর) গোশত পৌঁছে না এবং রক্তও না; বরং তাঁর কাছে পৌঁছে তোমাদের তাকওয়া (সংযমশীলতা); এভাবে তিনি ওগুলিকে তোমাদের অধীন করে দিয়েছেন যাতে তোমরা আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা কর এই জন্য যে, তিনি তোমাদেরকে পথ প্রদর্শন করেছেন। আর তুমি সুসংবাদ দাও সৎকর্মশীলদেরকে। (সুরা হজ : আয়াত ৩৭)
২.কুরআন-সুন্নাহর আলোকে কুরবানি করা
কুরবানি করার দুই নম্বর শর্ত হলো কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে কুরবানি করা। মহান আল্লাহ তায়ালা ওয়া তাঁর রাসূলের নির্দেশিত বিধান অনুযায়ী কোরবানি করতে হবে। কোরবানি সহ অন্য কোন ইবাদাতে তার অংশীদার স্থাপন করা যাবে না। তবে তার কোরবানি সহ যাবতীয় ইবাদত কবুল হওয়ার আশা আছে। মহান রাব্বুল আলামিন বলেন, ‘যে তার প্রতিপালকের সাক্ষাৎ কামনা করে, সে যেন সৎকর্ম করে এবং তার প্রতিপালকের ইবাদাতে কাউকে শরিক না করে। (সুরা কাহফ : আয়াত ১১০)
কুরবানির জন্য আরও যেসব শর্তাবলী গুরুত্বপূর্ণ
কুরবানী করার জন্য নির্দিষ্ট পশু রয়েছে। তবে পশুগুলোর অবশ্যই বয়স এবং পশুতে কয়জন অংশগ্রহণ করতে পারবে এ সম্পর্কে ইসলাম অনেক দিক নির্দেশনা রয়েছে। চলুন সেগুলো জেনে নেই-
কুরবানির পশু কেমন হতে হবে
মহান আল্লাহ তায়ালা কুরবানীর আদেশ করেছেন। কোরবানি দিতে হবে কোন পশুকে। সেগুলো হল- উট, গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা। এগুলোকে কুরআনের ভাষায় বলা হয় ‘বাহীমাতুল আনআম।’ হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উট, গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, দুম্বা ছাড়া অন্য কোনো পশু কুরবানি করেননিবা কুরবানি করতে বলেন নি। তাই কুরবানি শুধু এ সমস্ত পশু দিয়েই করতে হবে।গুণগত দিক থেকে উত্তম হল- কুরবানির পশু হৃষ্টপুষ্ট, অধিক গোশত সম্পন্ন, নিখুঁত, দেখতে সুন্দর হওয়া।
কুরবানির পশুর বয়স কেমন হতে হবে
কোরবানির জন্য ধার্য করা পশুটির বয়স অবশ্যই পরিপূর্ণ হতে হবে। শরীয়তের দৃষ্টিতে কুরবানীর পশুর বয়সের দিকটা খেয়াল রাখা অত্যন্ত জরুরী।
- উট : পাঁচ বছরের হতে হবে।
- গরু-মহিষ : দুই বছরের হতে হবে।
- ছাগল-ভেড়া-দুম্বা : এক বছর বয়সের হতে হবে।
- পরিপূর্ণ মালিকানা থাকতে হবে
পরিপূর্ণ মালিকানা থাকতে হবে কুরবানী পশুতে। যে প্রশ্নটি পরিপূর্ণ মালিকানা থাকবে সেই পশুটি তাকে কুরবানী দিতে হবে। যদি এ পশু বন্ধকের পশু, কর্জ করা পশু বা পথে পাওয়া পশু হয় তবে তা দ্বারা কুরবানি আদায় হবে না।
পশুটি অবশ্যই ত্রুটিমুক্ত হতে হবে
কুরবানীর পশুটিকে অবশ্যই ত্রুটিমুক্ত হতে হবে। দোষ রুটি থাকলে কুরবানী হবে না। হাদীস শরীফে এসেছে-
সাহাবি হজরত আল-বারা ইবনে আজেব রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের মাঝে দাঁড়ালেন। তারপর বললেন, চার ধরনের পশু দিয়ে কুরবানি জায়েজ হবে না। অন্য বর্ণনায় বলা হয়েছে পরিপূর্ণ হবে না। আর তা হলো-
- অন্ধ, যার অন্ধত্ব স্পষ্ট।
- রোগাক্রান্ত, যার রোগ স্পষ্ট।
- পঙ্গু, যার পঙ্গুত্ব স্পষ্ট এবং
- আহত, যার কোনো অঙ্গ ভেঙ্গে গেছে।
- নাসাঈ’র বর্ণনা ‘আহত’ শব্দের স্থলে ‘পাগল’ উল্লেখ আছে।
যেগুলো পশু কুরবানি করা মাকরূহ হবে
পশুর এমন কতগুলো ত্রুটি রয়েছে যা থাকলে কুরবানী আদায় হবে কিন্তু তা মাকরুহ হবে। এসব দোষ ত্রুটিযুক্ত পশু কোরবানি না করাই উত্তম। আর তাহলো-
- পশুর শিং ভাঙ্গা।
- কান কাটা।
- লেজ কাটা।
- ওলান কাটা কিংবা লিঙ্গ কাটা ইত্যাদি।
কোন দিন কুরবানির করতে হয়
কুরবানির নামাজে কুরবানী করার নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। কুরবানী করার নির্দিষ্ট সময়কাল হল জিলহজ মাসের ১০ তারিখ থেকে ১২ তারিখ সূর্যাস্ত পূর্ব পর্যন্ত। এই তিন দিনের যেকোনো একদিন কুরবানী করা জায়েজ। তবে প্রথম দিন অর্থাৎ কুরবানীর ঈদের দিন কুরবানী করা উত্তম। তারপরে দ্বিতীয় দিন এবং তৃতীয় দিন কুরবানী করা যায়।
একটি হাদিসে এসেছে-
জিলহজ মাসের ১২ তারিখ সূর্যাস্তের পর কোরবানি করা শুদ্ধ নয়। (ফাতাওয়ায়ে আলমগিরি : ৫/২৯৬) একইভাবে ঈদুল আযহার নামাজের আগে কোরবানি করা ও বৈধ নয়।
কোরবানির পশু জবাইয়ের নিয়ম
নিজের কোরবানির পশু নিজের হাতে জবাই করা মুস্তাহাব। নিজে যদি জবাই করতে না পারে তাহলে অন্যের দ্বারা জবাই করাবে। এ অবস্থায় নিজে সেখানে উপস্থিত থাকা উত্তম। (ফাতাওয়ায়ে শামি : ৫/২৭২)
জবাই করার সময় প্রথমে কোরবানির পশুকে কিবলামুখী করে শোয়াবে। তারপর ‘বিসমিল্লাহ আল্লাহু আকবার’ বলে জবাই করবে। ইচ্ছাকৃতভাবে কেউ যদি বিসমিল্লাহ পরিত্যাগ করে, জবাইকৃত পশু হারাম বলে গণ্য হবে। তবে যদি ভুলক্রমে বিসমিল্লাহ ছেড়ে দেয় তবে কোরবানির গোশত খাওয়া জায়েজ আছে। (হেদায়া : ৪/৪৩৫) কোরবানির পশু জবাই করার সময় মুখে নিয়ত করাটা জরুরি নয়। মনে মনে নিয়ত করবে যে আমি আল্লাহর উদ্দেশ্যে কোরবানি করছি। তবে মুখে দোয়া পড়া উত্তম। (ফাতাওয়ায়ে শামি : ৫/২৭২)
পশু জবাই করার সময় তিনটি রগ কাটা জরুরি
- কণ্ঠনালি
- খাদ্যনালি
- দুই পাশের মোটা রগ, যাকে ওয়াজদান বলা হয়।
এই তিনটি রগের মধ্যে যদি দুটি রগ কাটা হয় তবে কোরবানি শুদ্ধ হবে না। (হেদায়া : ৪/৪৩৭)
কুরবানীর পশু জবাইয়ের মুস্তাহাব
পশু জবাই করার সময় অবশ্যই ভালোভাবে ছুরি ধার দিয়ে নিতে হবে। কুরবানীর পশুকে এমন ভাবে জবাই করা উচিত যেন অহেতুক কোন কষ্ট না পায়। তেমনিভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন স্থানে জবাই করা উত্তম। পশু জবাই করার ব্যক্তির সঙ্গে যদি কেউ ছুরি চালানোর জন্য সাহায্য করে তবে তাকেও বিসমিল্লাহ আল্লাহু আকবার বলা ওয়াজিব। (হেদায়া : ৪/৪৩৮; ইমদাদুল ফাতাওয়া : ৩/৫৪৭, ফাতাওয়ায়ে শামি : ৯/৪৭৩)
আরো পড়ুনঃ ঈদুল ফিতরের দিন ও রাতের আমলসমূহ
পশু কোরবানির করার দোয়া
পশু কুরবানীর সময় কিবলামুখী করে শোয়ানোর পর নিম্নোক্ত দোয়া পাঠ করতে হয় " ‘ইন্নি ওয়াজ জাহতু ওয়াজ হিয়া লিল্লাজি ফাতারাস সামাওয়াতি ওয়াল আরদা হানিফাও ওয়ামা আনা মিনাল মুশরিকিন। ইন্না সালাতি ওয়া নুসুকি ওয়া মাহইয়ায়া ওয়া মামাতি লিল্লাহি রাবিবল আলামিন। লা শারিকা লাহু ওয়া বিজালিকা উমিরতু ওয়া আনা মিনাল মুসলিমিন। আল্লাহুম্মা মিনকা ওয়ালাকা"।’ (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস : ২৭৯৫)
উপসংহার: কুরবানী করার শর্তাবলী-কিভাবে কুরবানী করতে হয় জেনে নিন
কুরবানী করা মহান আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে একটি বিধান। মহান আল্লাহ তায়ালা কুরবানীকে শর্তসাপেক্ষে কারো কারো উপর ফরজ করেছেন। আদম আলাই সাল্লাম থেকে শুরু করে প্রত্যেক নবীর যুগে যুগে কুরবানির ব্যবস্থা ছিল। যেহেতু প্রত্যেক নবীর যুগে কোরবানির বিধান ছিল সেহেতু এর গুরুত্ব অপরিসীম। আমাদের মধ্যে যেসব ব্যক্তির কোরবানি করার সামর্থ্য রয়েছে তাদেরকে অবশ্যই কোরবানি করতে হবে। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকেই আল্লাহর রাস্তায় কোরবানি করার তৌফিক দান করুন আমীন।
আমাদের শেষের কথা
সম্মানিত পাঠক বন্ধু আশা করি এই আর্টিকেলে কোরবানি সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়েছেন। সম্মানিত পাঠক আশা করি উপরোক্ত নিয়মাবলী মেনে কুরবানী করবেন এবং আল্লাহ তায়ালাকে খুশি করবেন। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে ইসলামিক আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি। তাই আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url