২০২৪ এর রোজার ঈদ কত তারিখে?

২০২৪ এর রোজার ঈদ কত তারিখে?

সম্মানিত পাঠক আসসালামু আলাইকুম। মোটিভেশন আইটির পক্ষ থেকে আপনাকে শুভেচ্ছা ও স্বাগতম। সম্মানিত পাঠক ও দ্বীনি ভাই আজকে আর্টিকেল আলোচনা করব রমজান শেষের রমজানের অর্থাৎ ঈদুল ফিতরের ২০২৪ এর তারিখ। ২০২৪ এর ঈদুল ফিতর বা রোজার ঈদ কত তারিখে হবে বা হওয়া সম্ভাবনা আছে সেই নিয়ে আর্টিকেল আলোচনা করব। আর্টিকেলটি অবশ্যই শেষ পর্যন্ত পড়বেন।

পোস্ট সূচিপত্র: ২০২৪ এর রোজার ঈদ কত তারিখে?

  • সূচনা
  • ঈদুল ফিতরের তারিখ নির্ধারনে গল্প
  • ঈদুল ফিতর-২০২৪ এর সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা
  • ঈদুল ফিতর নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা
  • ইসলাম ধর্মে কখন ঈদ চালু হয়
  • সর্বপ্রথম ঈদুল ফিতর পালনের রীতিনীতি
  • উপসংহার

সূচনা: ২০২৪ এর রোজার ঈদ কত তারিখে?

ছবি

সংযুক্ত আরব আমিরাতের মহাকাশ গবেষণা ও জ্যোতির্বিদ্যাবিষয়ক সংস্থা আমিরাতস এস্ট্রোনোমি সোসাইটি পবিত্র রমজান মাস ও পবিত্র ঈদুল ফিতর ২০২৪ এর সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করেছে। অনেকে আছেন যারা google এ সার্চ করেন যে ২০২৪ সালের ঈদুল ফিতর কত তারিখে অথবা ২০২৪ এর রোজার ঈদ কত তারিখে হবে। তাদের জন্য খুব উপকারী একটি আর্টিকেল প্রকাশ করতেছি। নিম্নের সমস্ত বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। অবশ্যই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন।

আরো পড়ুনঃ ঈদুল ফিতরের ফজিলত-ঈদের দিনে করণীয় কী?

ঈদুল ফিতরের তারিখ নির্ধারনে গল্প

বিশ্বের মুসলমানদের জন্য সবচেয়ে বড় উৎসব হচ্ছে ঈদুল ফিতর। অর্থাৎ বাংলাদেশের মুসলমানদের জন্য ঈদুল ফিতর সবার কাছে রোজার ঈদ নামে পরিচিত। পৃথিবীতে সর্বমোট ধর্ম রয়েছে ৪,৩০০ টি। তার মধ্যে পৃথিবীর মোট জনসংখ্যা ৭৭১.৫০ কোটি (প্রায়) বিশ্বজনসংখ্যা রিপোর্ট ২০১৯ এর মতে। এর মধ্যে সারা পৃথিবীতে মুসলিম জনসংখ্যা প্রায় 200 কোটি। 

আর বিশ্বে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় উৎসব হচ্ছে ঈদ। মুসলমানদের প্রতি বছরের দুইটি ঈদ উদযাপন হয়ে থাকে। তার মধ্যে প্রথমটি হচ্ছে ঈদ-উল ফিতর বা রোজার ঈদ এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে ঈদ-উল আযহা বা কোরবানির ঈদ। পবিত্র রমজান মাসে মুসলমানরা রোজা রাখে এবং দিনের পথে চলে নামাজ কায়েম করে সেহরি ও ইফতার করে থাকে। রমজান মাস থেকে মুসলমানরা এভাবেই অতিবাহিত করে থাকেন। দীর্ঘ এক মাস রোজা রাখার পর মুসলমানদের আনন্দের উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হয়।

ঈদুল ফিতর-২০২৪ এর সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা

২০২৪ সালের ক্যালেন্ডার সরকারি ছুটি অনুযায়ী পবিত্র ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হবে ১০/১১ এপ্রিল। তবে ১০ বা ১১ এপ্রিল নির্ধারিত করে বলা সম্ভব নয় কারণ এটি চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল। যেহেতু এটি চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল তাই নয় তারিখ সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা গেলে ১০ তারিখ এবং 10 তারিখ সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা গেলে ১১ তারিখ পবিত্র ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হবে।

ঈদুল ফিতর নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা

ঈদুল ফিতর হচ্ছে ইসলাম ধর্মালম্বীদের সবচাইতে বড় দুইটি উৎসবের মধ্যে একটি। একটি হচ্ছে ঈদুল ফিতর এবং আরেকটি হচ্ছে ঈদুল আযহা। ঈদুল ফিতরের অর্থ হলো “রোজা ভাঙার আনন্দ”। পবিত্র রমজান মাসের ২৯ বা ৩০ টি রোজার পর শাওয়াল মাসের ১ তারিখে ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হয়। এই দিনটি মুসলমানদের জন্য একটি আনন্দের দিন এ দিন তারা তাদের দীর্ঘ রোজা পালনের পুরস্কার লাভ করে থাকে।

ছবি

  • ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মুসলমানরা কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম পালন করে থাকে। যেমন:
  • ঈদের দিন সকালে গোসল করা।
  • নতুন এবং পরিষ্কার জামা কাপড় পর
  • কাপড়ের সুগন্ধি মাখা
  • ঈদের জামাত আদায় করা।
  • ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করা।
  • গরিব-দুঃখীদের জন্য ফিতরা প্রদান করা।
  • মিষ্টি খাওয়া।

পবিত্র ঈদুল ফিতর শেষে মুসলমানরা একে অপরের সাথে কোলাকুলি ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করে। তারা গরিব মিসকিনদের ফিতরা প্রদান করে থাকে। ফিতরা হলো রমজান মাসের রোজার জন্য একটি অন্যতম সামাজিক দান। ঈদুল ফিতর মুসলমানদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ও সংহতির বন্ধন দৃঢ় করে। এটি মুসলমানদেরকে তাদের ধর্মীয় কর্তব্যপালনের প্রতি উৎসাহিত করে থাকে।

ইসলাম ধর্মে কখন ঈদ চালু হয়

হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম ৬২৩ খ্রিস্টাব্দে মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করেন। হিজরত করার পর তিনি প্রথম রমজান মাসে রোজা পালন করেন এবং ঈদুল ফিতর উদযাপন করেন। হিজরী দ্বিতীয় সনে ঈদের প্রবর্তন করা হয়েছিল। কারণ, হিজরী প্রথম সনে রমজান মাসের রোজা রাখা হয়েছিল, কিন্তু ঈদের প্রবর্তন করা হয়নি। সুতরাং, ৬২৩ খ্রিস্টাব্দে বা হিজরী দ্বিতীয় সনে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছিল বলে বিবেচনা করা হয়।

আরো পড়ুনঃ রোজার ফিদিয়া কি-কখন ও কীভাবে দিতে হয়

সর্বপ্রথম ঈদুল ফিতর পালনের রীতিনীতি

ঈদ একটি আরবি শব্দ। যার মানে বা অর্থ হল আনন্দ খুশি উৎসব ইত্যাদি। মুসলমানদের জন্য ঈদ পালন করা ওয়াজিব। তবে ঈদ পালনের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম ইসলামী নির্দিষ্ট করা হয়েছে।

*এর মধ্যে প্রধান হচ্ছে ঈদের দিন সকালে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা, যা সব মুসলমানের জন্য অবশ্য পালনীয়।

*এছাড়া ও  ঈদ-উল ফিতরে ফিতরা প্রদান করাও একটি ধর্মীয় আদেশ। ফিতরা ঈদের নামাজের আগে অসহায় গরিব-দুঃখীদের মাঝে বিতরণ করতে হয়। হযরত মুহাম্মদ সাঃ ঈদের দিনে গোসল করে উত্তম পোশাক পরে নামাজ পড়তে যেতেন। তাই ঈদের দিন গোসল ও উত্তম পোশাক পরিধান করতে হবে।

* ঈদের নামাজের পর মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া এবং আত্মীয় স্বজন, প্রতিবেশী বন্ধুদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়ের রেওয়াজ রয়েছে।

উপসংহার: ২০২৪ এর রোজার ঈদ কত তারিখে?

সম্মানিত পাঠক বন্ধু, আশা করি আর্টিকেলটি থেকে আপনারা ঈদুল ফিতরের তারিখ এবং দিন সম্বন্ধে ধারণা পেয়েছেন। আমাদের আর্টিকেলটি যদি আপনার পছন্দ হয়ে থাকে তাহলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। সম্মানিত পাঠক আমাদের ওয়েবসাইটে আমরা নিয়মিত আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি। তাই নিয়মিত আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url