খিঁচুনি হওয়ার কারন-খিঁচুনি রোগের চিকিৎসা

খিঁচুনি হওয়ার কারন-খিঁচুনি রোগের চিকিৎসা

সম্মানিত পাঠক আসসালামু আলাইকুম। মোটিভেশন আইটির পক্ষ থেকে আপনাকে জানাই শুভেচ্ছা ও স্বাগতম। সম্মানিত পাঠক আপনাদের সামনে এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে খিচুনি হওয়ার কারণ সম্পর্কে। খিচুনি কেন হয় খিঁচুনি রোগের চিকিৎসা এবং সতর্কতামূলক বিষয় নিয়ে এই আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি অনেক কিছু জানতে পারবেন এবং আপনার অনেক উপকার হবে। সুতরাং অবশ্যই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়বেন।

পোস্ট সূচিপত্র: খিঁচুনি হওয়ার কারন-খিঁচুনি রোগের চিকিৎসা

  • সূচনা 
  • খিঁচুনি রোগ কি? 
  •  খিঁচুনি রোগ হওয়ার কারণ
  • খিঁচুনি রোগের লক্ষণ
  • এর প্রধান লক্ষণ ও উপসর্গগুলো 
  • জেনারালাইজড উপসর্গগুলো হল:
  • খিঁচুনি রোগ হলে কী করবেন
  • খিঁচুনি নি রোগের ঔষুধ
  • খিঁচুনি রোগের ক্ষেত্রে সতর্কতা

সূচনা: খিঁচুনি হওয়ার কারন-খিঁচুনি রোগের চিকিৎসা

ছবি

কিছু নেই একটি সাধারণ রোগ। এই রোগটি কম বেশি ছোট বড় অনেকের হয়ে থাকে। খিচুনি হল বেশ কিছু কারণ রয়েছে। অনেকগুলো লক্ষণ রয়েছে যে লক্ষণগুলো দেখে বোঝা যায় যে সে ব্যক্তির খিচুনি হয়েছে। খিচুনি রোগের চিকিৎসা এবং এর সর্তকতা বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের উপদেশ রয়েছে। চলুন একে একে শুরু করা যাক। প্রথমেই আমরা জানবো খিচুনি রোগের কি এই বিষয়ে।

আরো পড়ুনঃ ছোট বাচ্চাদের নিউমোনিয়া রোগের কারণ-নিউমোনিয়া রোগের ঔষুধ

খিঁচুনি রোগ কি? 

 সাধারণত  খিঁচুনি বলা হয়, মস্তিষ্কে আকস্মিকভাবে একাধিক অস্বাভাবিক বৈদ্যুতিক প্রবাহের ফলে সৃষ্ট শারীরিক ও আচরণগত পরিবর্তনের ধারাকে খিঁচুনি বলা হয়। খিঁচুনি একটি রোগ যা শরীরের ঐচ্ছিক পেশীগুলোকে বারবার সংকুচিত ও শিথিল করে। খিঁচুনি হওয়ার ফলে অনিয়ন্ত্রিত কাপুনি শুরু হয়। যারা মৃগি রোগী রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ঝাঁকনি তৈরি নাও হতে পারে। কারণ সমস্ত খিচুনি মৃগী রোগের কারণে হয় না।

 খিঁচুনি রোগ হওয়ার কারণ

  • জন্মের সময় যদি কোন শিশুর এ সমস্যা সম্মুখীন হয় তাহলে তার মস্তিষ্কে সমস্যা হতে পারে। বিশেষ কিছু ঘটনায় শিশুদের এপিলেপসিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। 
  • শিশুর বুদ্ধির বিকাশ, শিশুর বৃদ্ধি, কথা বলতে শেখা, দাঁড়ানো হাটতে শেখা, বসতে শেখা এসব যদি দেরিতে হয় তাহলে কোন কোন ক্ষেত্রে এমন এপিলেপসির শঙ্কা থাকে।
  • শিশুদের মস্তিষ্কের গঠন পূর্ণতা না পেলে বা কোনও জখম থাকলে এই অসুখ দেখা দেয়। কোনও কোনও ক্ষেত্রে শিশু মস্তিষ্কে আঘাত পেলে বা মস্তিষ্কে কোনও জটিল অস্ত্রোপচার হলে এই অসুখের খিঁচুনি রোগের আশংকা থাকে। 

খিঁচুনি রোগের লক্ষণ

এপিলেপসি বা মৃগীর ক্ষেত্রে জ্বরের সঙ্গে খিঁচুনি একটা বড় লক্ষণ ঠিকই। তবে জ্বর হলেই যে খিঁচুনি হবে এমন কোন কথা নয়। খিঁচুনি যদি ১০ থেকে ১৫ মিনিটের বেশি স্থায়ী হয় অথবা ঘন ঘন শরীরে কোন একটি পাশে খিচুনি হতে থাকে তাহলে এই অসুখ নিয়ে চিন্তিত হওয়ার প্রয়োজন আছে। এই অসুখ নিয়ে এমন লক্ষণ দেখা দিলে সচেতন হওয়া জরুরি।

এসব লক্ষণ দেখা দিলে শিশুর মস্তিষ্কের এম আর আই ও ইইজি করিয়ে রাখা জরুরী। এপিলেপসির কোনও ইঙ্গিত থাকলে এতেই ধরা পড়বে।

এর প্রধান লক্ষণ ও উপসর্গগুলো 

  • খিঁচুনির প্রধান দুইটি উপসর্গ ফোকাল সিজার এবং জেনারালাইজড সিজার।
  • ফোকাল সিজার এর উপসর্গগুলি হল:
  • শরীরের যে কোন অংশে যেকোনো সময় আকস্মিক বিচলন 
  • আক্রান্ত ব্যক্তির আলোর জ্যোতি দেখার অভিজ্ঞতা হতে পারে 
  • বিভিন্ন ধরনের শব্দ বা বন্ধ সাধের অনুভূত হতে পারে যদিও তা বাস্তবে কিছুই নেই 
  • সচেতনতার পরিবর্তনের ফলে ক্রিয়া কালাপের বদল।

জেনারালাইজড উপসর্গগুলো হল:

এবসেন্স সিজার : 

অ্যাবসেন্স সিজার শিশুদের মধ্যে বেশি দেখতে পাওয়া যায়। এই সময় মনে হয় শিশুরা কোন শূন্যস্থানের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। অথবা অল্প সময়ের জন্য সচেতনতা অভাব বা শরীরের সূক্ষ্মভাবে নড়াচড়া করা দেখা যেতে পারে।

টোনিক সিজার

টনিক সিজার সাধারণত পিঠ হাত ও পায়ের পেশী হতে প্রভাবিত হয়ে থাকে।

ক্লোনিক সিজার 

ক্লোনিক সিজার হল ঝাঁকুনিযুক্ত প্যাসি চলন সাধারণত মুখ ঘাড় ও হাতের পেশীতে দেখা যায়। 

টোনিক-ক্লোনিক সিজার

টনিক clonic সিজার উপসর্গগুলি সম্মিলিতভাবে অনুভব করতে পারে রোগী। 

মায়োক্লোনিক সিজার

 পেশীর কম্পনের পাশাপাশি ছোট ঝাঁকুনিযুক্ত চলন।

এটোনিক সিজার

 পেশীর নিয়ন্ত্রণ হ্রাস পাওয়ার ফলে আক্রান্ত পড়ে যেতে পারে।

খিঁচুনি রোগ হলে কী করবেন

  • খিচুনি হলে প্রথম শর্ত হলো সময়মত দ্রুত ওষুধ খাওয়ানো। 
  • কয়েক মাস পর পর চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। অবশ্যই পরীক্ষাগুলো রুটিন করিয়ে রাখতে হবে। 
  • এ অবস্থায় জ্বর কোন ভাবে বাড়তে দেওয়া যাবে না। জ্বরের ওষুধ বাড়িতে অবশ্যই সব সময় রাখতে হবে। 
  • রোগের স্বাভাবিক ঘুমের যেন কোন প্রকার ঘাটতি না পড়ে সেই দিকে নজর দেওয়া জরুরী।

খিঁচুনি নি রোগের ঔষুধ

খিঁচুনি মাঝে মাঝে একবার ঘটতে পারে। এক্ষেত্রে চিকিৎসার কোন প্রয়োজন হয় না। যদি বারবার পুনরাবৃত্তি হয় তাহলে (এন্টিএপিলেকপ্টিক) ওষুধ দিতে পারেন।কিছু নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে। খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন, যেমন বেশি তেলযুক্ত, কম শর্করাযুক্ত, কিটোজেনিক খাদ্যাভ্যাস খিঁচুনির চিকিৎসায় সাহায্য করে।

খিঁচুনি রোগের ক্ষেত্রে সতর্কতা

খিঁচুনি হওয়ার সময় রোগীকে নির্দিষ্ট একটা পাশে শুয়ে রাখতে হবে। মুখের বের হওয়া তরল যেন শ্বাসনালীতে কোনভাবে না পৌঁছে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। রোগীর চারপাশে কোনরকম ধারালো জিনিস বা আঘাত পেতে পারে এমন শক্ত কোন বস্তু না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। রোগীকে অবশ্যই জোরে চেপে ধরবেন না। ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে স্থায়ী হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

আরো পড়ুনঃ নাক দিয়ে রক্ত পড়ার কারণ-নাক দিয়ে রক্ত পড়ার সমাধান 

মন্তব্য: খিঁচুনি হওয়ার কারন-খিঁচুনি রোগের চিকিৎসা

সম্মানিত পাঠক ছোট-বড় যে রোগ হোক না কেন কোন রোগের ছোট মনে করা উচিত নয়। সেক্ষেত্রে খিঁচুনি হওয়া একটি খুবই মারাত্মক রোগ। খিচুনি রোগের ক্ষেত্রে অবশ্য সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরী। নিয়মিত ওষুধ এবং ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে এই রোগের সমাধান করা অত্যন্ত জরুরী। তাই কারো যদি এ সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই উপরের নির্দেশনা গুলো পালন করবেন। 

আমাদের শেষের কথা 

সম্মানিত পাঠক বন্ধু আশা করি কিছু বিভাগের বিষয় সম্পর্কে সবকিছু অবগত হয়েছেন। সম্মানিত পাঠক আর্টিকেলটি পরে ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। নিয়মিত আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে বিভিন্ন বিষয়ক আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি। তাই নিয়মিত আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url