ওজন কমানোর সঠিক উপায়-যেভাবে শরীরের দ্রুত ওজন কমাবেন

ওজন কমানোর সঠিক উপায়-যেভাবে শরীরের দ্রুত ওজন কমাবেন

সম্মানিত পাঠক বন্ধু আসসালামুয়ালাইকুম। মোটিভেশন আইটির পক্ষ থেকে আপনাকে জানাই শুভেচ্ছা ও স্বাগতম। আপনি কি স্বাস্থ্যসম্মত উপায় ওজন কমানোর কথা ভাবছেন? যদি ভাবেন তাহলে এই আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার জন্যই। আজকে এ আর্টিকেল আলোচনা করব ওজন কমানোর সঠিক উপায় নিয়ে। স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে কিভাবে ওজন কমাবেন সেই বিষয় নিয়ে এই আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করব।

পোস্ট সূচিপত্র: ওজন কমানোর সঠিক উপায়-যেভাবে শরীরের দ্রুত ওজন কমাবেন

  • ভূমিকা
  • প্রোটিন জাতীয় খাবারে ক্যালরি কম থাকে 
  • সুগারযুক্ত কোমল পানীয় ও ফলের রস বর্জন করতে হবে
  • বেশি করে পানি পান করলে ওজন কমে
  • নিয়মিত ব্যায়াম করা
  • রিফাইন্ড সুগার ও কার্বোহাইড্রেট কম খেতে হবে
  • মন্তব্য

ভূমিকা: ওজন কমানোর সঠিক উপায়-যেভাবে শরীরের দ্রুত ওজন কমাবেন

ছবি

সঠিক উপায় ওজন কমার প্রধান কার্যকরী পদক্ষেপ হচ্ছে ক্যালরি। ওজন যদি কমাতে হয় তবে প্রতিদিন যে পরিমাণ ক্যালরি খরচ হয় তার থেকে কম পরিমাণ ক্যালরি খেতে হবে অর্থাৎ কম ক্যালোরি খেতে হবে। কম ক্যালরিযুক্ত খাবার পরিমাণ মতন খাওয়া যাবে

আর সেটার জন্য আপনাকে জানতে হবে কোন কোন খাবারে ক্যালরি কম থাকে। সেই অনুযায়ী আপনাকে কম ক্যালরিযুক্ত খাবার গ্রহণ করতে হবে। না খেয়ে ওজন কমানোর কথা কল্পনাও করবেন না কেননা না খেয়ে ওজন কমে যায় সাথে সাথে আপনার শরীরে দুর্বলতা সৃষ্টি হয় প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। তাই ওজন কমাতে কিছু টেক্স হয়ে ও কার্যকরী পদক্ষেপ অবলম্বন করতে হবে।

প্রোটিন জাতীয় খাবারে ক্যালরি কম থাকে 

ওজন কমানোর সবচেয়ে সহজ এবং কার্যকরী পদ্ধতি হচ্ছে  প্রোটিন জাতীয় খাবার খেতে হবে। কারণ প্রোটিন জাতীয় খাবারে ক্যালরি কম থাকে। প্রোটিন জাতীয় খাবার খেলে অল্প সময়ে খুব তাড়াতাড়ি তৃপ্তি আসে এবং ক্ষুধার অনবরত তাড়াতাড়ি কমে যায়। আমাদের শরীরের রেট বা শারীর বৃত্তীয় ক্রীড়া আর বাড়ে কারণ প্রোটিন ও আমি জাতীয় খাবারে হজম ও মোটা লিজাম হতে বা খাবার ভেঙে শক্তি উৎপাদনে অনেক শক্তি ব্যয় হয়।।

 আমিষ জাতীয় খাবার হজম বা মেটাবলিজমে বেশি শক্তি অর্থাৎ ৮০-১২০ ক্যালরি শক্তি বেশি ব্যয় হয়। একজন ব্যক্তি যদি খাবারের ৩০ ভাগ প্রোটিন জাতীয় খাবার খায় তবে সে প্রতিদিন ৪৪১ ক্যালরি সমপরিমাণ খাবার কম গ্রহণ করল। সুতরাং খাবারে যদি পরিমিত পরিমাণ প্রোটিন যোগ করে একদিকে যেমন শরীরের ক্যালরি প্রবেশ করে তেমনি ক্যালরি খরচ হয়।

যারা ডায়েট না করে ওজন কমাতে চান তাদের মধ্যে তীব্রতা অনুভূত হয় হলে তারা আর না খেয়ে থাকতে পারেন না এজন্য ওজন কমানো কঠিন হয়ে পড়ে। আবার ওজন আগের মত বাড়তে থাকে। প্রোটিন জাতীয় খাবার এ ধরনের অর্থাৎ ক্ষুদার তীব্র অনুভূতি কমিয়ে দেয়।

খাবারে যদি ২৫ ভাগ প্রোটিন বা আমিষ থাকে তবে এই প্রোটিন বা আমিষ মস্তিষ্কে খাবারের চিন্তা ৬০ ভাগ কমিয়ে দেয় ও রাতের গভীরে বা ভোর রাতে নাস্তা খাবার ইচ্ছা বা প্রবণতা ৫০ ভাগ কমিয়ে দেয়।তাই যদি কেউ ওজন কমানোর পদ্ধতি টেকসই এবং স্থায়ী করতে চান তাহলে কমপক্ষে ৩০ ভাগ প্রোটিন বা আমিষ জাতীয় খাবার রাখতে হবে খাবার তালিকায় এটা ওজন কমানোর পাশাপাশি ওজন যাতে আর না বাড়ে সেটাও নিশ্চিত করবে।

আরো পড়ুনঃ সকালে ব্যায়াম করার উপকারিতা -ব্যায়াম করার পর কি খেতে হয়

সুগারযুক্ত কোমল পানীয় ও ফলের রস বর্জন করতে হবে

স্বাস্থ্যসম্মত উপায় ওজন কমাতে হলে আপনাকে সুপারযুক্ত কমল পানি ও ফলের রস অবশ্যই বর্জন করতে হবে। তাছাড়াও চকলেট দুধ অন্যান্য কোমল পানি যেমন কোকাকোলা ফ্যানটা মেরুন দা পেজটি যেখানে অতিরিক্ত পরিমাণ সুগার  যোগ করা হয় সেগুলো অবশ্যই বর্জন করতে হবে।

ছবি

ছোট বাচ্চাদের মোটা হওয়ার রিক্স এবং ওজন বাড়ার এক্স সাইট ভাগ বেড়ে যায়। যদি সে প্রতিদিন সুবারযুক্ত কমল পানি পান করে। শুধু ওজন বাড়ানো নয় সুগার যুক্ত কমন পানি নানা ধরনের রোগ বালাই তৈরি করে। প্রাকৃতিক ফলের রস স্বাস্থ্যকর কিন্তু জুসের সঙ্গে অতিরিক্ত চিনি যোগ করা হলে তা অস্বাস্থ্যকর এবং ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায় শরীরের জন্য। তাই এসব সুগারযুক্ত পানি আসলে কোন লাভজনক নয় বরং দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতিকর জিনিস।

বেশি করে পানি পান করলে ওজন কমে

স্বাস্থ্যসম্মত উপায় ওজন কমাতে হলে আপনাকে অবশ্যই বেশি বেশি পানি পান করতে হবে। পানি পান করার বিকল্প কিছু নেই। ওজন কমানোর জন্য অন্যতম ট্রিট হচ্ছে প্রতিদিন বেশি বেশি পানি পান করা বেশি পরিমাণ পানি পান করলে শরীরে অতিরিক্ত ক্যালরি খরচ হয়। তাই প্রতিদিন চার থেকে চার গ্লাস থেকে ২ লিটার পানি পান করলে ৯৬ ক্যালোরি শক্তি অতিরিক্ত খরচ হয় দৈহিক পরিশ্রম ছাড়াই।খাবারের আগে খালি পেটে পানি পান করলে আংশিক পেট ভর্তি হয় এবং ক্ষুধা কমবে ফলে পরিমাণ মতন খাবার খেলে পেট ভরে যায়।

খাবারের ১-২ ঘণ্টা আগে ১-২ লিটার পানি খেলে ৪৪ ভাগ বেশি ওজন কমে। তাই ওজন কমানোর জন্য স্বাস্থ্যকর ও কম ক্যালরিযুক্ত খাবারের পাশাপশি বেশি পরিমাণে পানি পান করা কার্যকরী। যেসব পানীয় ক্যাফেইনযুক্ত যেমন গ্রিন টি, কফি স্বাস্থ্যক ও ওজন কমাতে সহায়ক কারণ এ পানীয়গুলো শরীরে অতিরিক্ত ক্যালরি খরচ করতে সাহায্যকারী।

নিয়মিত ব্যায়াম করা

নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীরের ওজন কমে। আমরা যখন আমরা যখন কম ক্যালরিযুক্ত খাবার খায়, তখন আমাদের শরীর শক্তি সঞ্চয় করে রাখতে চাই শক্তি কম খরচ করে শক্তি জমা রাখতে চাই। তাই দীর্ঘমেয়াদী ওজন কমানোর জন্য ডায়েটিং বা কম খাবার খেতে হবে। তাছাড়াও এর ফলে আমাদের শরীরের মাংসপেশিগুলো শুকিয়ে যায় তাই ওজন কমানোর জন্য ক্যালরিযুক্ত খাবার কম খাওয়ার পাশাপাশি মাংসপেশি ঠিক রাখার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।

ওজন কমানোর জন্য আমরা শুধু শরীরের চর্বিই কমাতে চাইব না, আমাদের শারীরিক গঠনও যাতে ঠিক থাকে, আমাদের যাতে দেখতে অসুন্দর না লাগে, শুকনা শুকনা না লাগে, যাতে দেখতে ভালো  লাগে। ওয়েট লিফটিংয়ের পাশাপাশি নিয়মিত এরোবিক ব্যায়াম যেমন হাঁটা, সাঁতার কাটা ও জগিং করতে হবে।

রিফাইন্ড সুগার ও কার্বোহাইড্রেট কম খেতে হবে

শর্করা জাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমাণ ক্যালরি থাকে তাই শর্করা জাতীয় খাবার যেমন ভাত রুটি আলু মিষ্টি দুধ কমল পানীয় ইত্যাদি কম খেতে হবে। কম ক্যালরিযুক্ত খাবার অর্থাৎ কম কার্বোহাইড্রেট ও কম চর্বিযুক্ত খাবার ওজন কমাতে ২-৩ গুণ অধিক কার্যকর। তাছাড়া কম কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার অন্যান্য রোগ যেমন ডায়াবেটিস, মেটাবলিক সিন্ড্রোম রোগ প্রতিরোধ করে।

আরো পড়ুনঃ প্রতিদিন এক মিনিট করে ঝুলে থাকার ১১ টি উপকারিতা

মন্তব্য:  ওজন কমানোর সঠিক উপায়-যেভাবে শরীরের দ্রুত ওজন কমাবেন

সম্মানিত পাঠক বন্ধু আশা করি এই আর্টিকেলটি পড়ে ইতিমধ্যে বুঝতে পেরেছেন স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে কিভাবে ওজন কমানো যায় সেই বিষয় সম্পর্কে। সম্মানিত পাঠক আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে দিবেন। আর নিয়মিত আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url