বমি কেন হয়- বমি থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায়

বমি কেন হয়- বমি থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায়

সম্মানিত পাঠক আসসালামু আলাইকুম। মোটিভেশন আইটির পক্ষ থেকে আপনাকে জানাই শুভেচ্ছা ও স্বাগতম। আজকে এই আর্টিকেল আলোচনা করতে চলেছি বমি কেন হয় শেই বিষয়ে। বমি হওয়ার বিভিন্ন কারণ রয়েছে। বমি হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় সম্পর্কে এই আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করব। আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই উপকারী হতে চলেছে। আর্টিকেলটি অবশ্যই শেষ পর্যন্ত পড়বেন। 

বমি হওয়ার কারণ 

সম্মানিত পাঠক এই পর্বে জানব বমি হওয়ার বিভিন্ন কারণ সম্পর্কে। বমি হওয়ার অনেক রকম কারণ থাকে। সেই ভমিটিং বা বমি নিয়ে আলোচনা করব।

 বোমিটিং কি? 

সম্মানিত পাঠক আমরা প্রথমে জানবো বোমিটিং কি সে বিষয়ে। আমরা দিনে রাতে বিভিন্ন সময়ে খাবার খেয়ে থাকি। এই খাবার সাধারণত মুখগহ্বর হতে গলার নালী হয়ে পাকস্থলিতে প্রবেশ করে। অনেক সময় নানা কারণে পাকস্থলির এই খাবার উদ্গীরণ হয়ে মুখ দিয়ে বের হয়ে যায়। এই প্রক্রিয়াকে আমরা সাধারণত বলি বমি। 

ছবি

অনেকে রয়েছে যারা বমিকে ব্যাধি হিসেবে ধারণা করেন। কিন্তু বমি আসলে কোনো রোগ নয়। শরীরের নানা রোগ-ব্যাধি বা কোন অস্বাভাবিক অবস্থার কারণে বমি হতে পারে। সাধারণত বমি কোনো উদ্বেগজনক শারীরিক সমস্যা নয়। তবে অনেক ক্ষেত্রে ভমিটিং যদি অব্যাহতভাবে হতে থাকে এবং প্রাথমিক চিকিত্সায় যদি বমি বন্ধ না হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শে বমির কারণ খুঁজে বের করতে হবে। 

আরো পড়ুনঃ দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত পড়ার কারণ-কিভাবে মাড়ি থেকে রক্ত পড়া বন্ধ করবেন

বমি বিভিন্ন কারণে হতে পারে। সাধারণ যেসব কারণে বমি হতে পারে তা হচ্ছে ফুডবর্ন ইলনেস যেমন:

  • অতিরিক্ত ওষুধ সেবন
  • ফুড পয়জনিং
  • ইনডাইজেশন বা হজমে সমস্যা
  • ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসজনিত ইনফেকশন
  • মোশন সিকনেস বা যানবাহনে চলাচলের সময় বমি
  • মাইগ্রেনজনিত মাথা ব্যথা, 
  • গলব্লাডারে সমস্যা,
  • অতিরিক্ত মদ্যপান, 
  • অতিরিক্ত আহার, 
  • অ্যাসিড রিফ্ল্যাক্স বা পেটে এসিডিটিজনিত সমস্যা,
  •  ফুড এলার্জি, 
  •  লিভারের সমস্যা, 
  • অতিমাত্রায় মানসিক চাপ, 
  • ভীতি,
  •  পয়জনাস কোনো খাবার খেয়ে ফেলা, 
  • বাওয়েল অবস্ট্রাকশন,
  • পেটের আলসার, 
  • পেটে প্রদাহ বা গ্যাস্ট্রাইটিস
  • তীব্র বা ঝাঁঝালো গন্ধযুক্ত পদার্থের ঘ্রান নাকে প্রবেশ করা, 
  • এপেনডিসাইটিস
  •  তীব্র কোষ্ঠকাঠিন্য বা কনস্টিপেশন,

 এছাড়াও কিছু শারীরিক সমস্যার কারণে বমি হতে পারে। তবে এটা সচরাচর বমির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত না। এছাড়া ও  বয়স ও অন্য কারণেও বমি হতে পারে। যেমন :শিশু ও গর্ভবতী মহিলাদের বমি হওয়া ইত্যাদি।

বমি থাকে রক্ষা পাওয়ার উপায়

সম্মানিত পাঠক আমরা এতক্ষন জানলাম বমি হওয়ার বিভিন্ন কারণ সম্পর্কে এবং বমি কাকে বলে সেই বিষয়ে। আশা করি এ পর্যন্ত পুরোটাই বুঝতে পেরেছেন এখন আমরা এই আপর্বে জানব বমি থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় গুলো কি কি সেই বিষয়ে। যদি বমি ভাব বা বমি হয় তবে ওষুধ ছাড়াও কিছু ঘরোয়া ব্যবস্থা নেওয়া যায়। যেমন -

কয়েক বার লম্বা শ্বাস নেওয়া, 

আদা দিয়ে চা খাওয়া, 

 যানবাহনে চলাচলজনিত বমির প্রবণতা থাকলে যানবাহন যেমন :

  • গাড়ি, বাস, 
  • ট্রেন বা প্লেনে ওঠার পূর্বে বমি কমানোর ওষুধ সেবন,
  •  বরফের ছোট টুকরা মুখে দিয়ে চুষা, 
  • অতিমাত্রায় তৈলাক্ত ও স্পাইসি বা মসলাযুক্ত খাবার পরিহার করা ইত্যাদি। 

ওটিসি মেডিসিন যেমন :

এন্টি-এমিটিকস জাতীয় কোনো ওষুধ সেবন

খাবার খাওয়ার পর মাথা ওপরের দিকে দিয়ে খানিকক্ষণ বসে থাকতে হবে। আহারের সঙ্গে সঙ্গে পানি পান করা যাবে না। করা ইত্যাদি। তবে ব্যাকটেরিয়াজনিত ফুডপয়জনিং এর কারণে বমি হলে সেক্ষেত্রে বমির ওষুধের পাশাপাশি অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের প্রয়োজন হতে পারে। পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণ পানি পান এবং শক্ত খাবার পরিহার করতে হবে।

এছাড়া ও এসিডিটির সমস্যা থাকলে এবং অ্যাসিডিটির কারণে বমি বমি ভাব বা বমি হলে ওমিপ্রাজল বা ইসোমিপ্রাজল জাতীয় ওষুধ ৪০ মিলিগ্রাম খাবার পূর্বে দিনে দুই বার সাত দিন খেতে পারেন। পাশাপাশি বমি কমানোর ওষুধ প্রতি বার আহারের আধাঘণ্টা পূর্বে খেতে হবে অন্তত তিন থেকে সাত দিন। 

এর পরও যদি বমি না কমে তবে অবশ্যই কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। মনে রাখতে হবে, বারবার বমি হলে শরীর থেকে প্রচুর পানি ও খনিজ পদার্থ বের হয়ে যায়। তাই এক্ষেত্রে খাবার স্যালাইন বা ওআরএস পানিতে মিশিয়ে পান করতে হবে।পারে। 

আরো পড়ুনঃ কিভাবে দ্রুত লম্বা হওয়া যায়-দ্রুত লম্বা হওয়ার জন্য করণীয়

মন্তব্য: বমি কেন হয়- বমি থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায়

সম্মানিত পাঠক বন্ধু আমরা এই পর্বে জানতে পারলাম বমি হওয়ার কারণ বমি কি এবং বমি থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় গুলো কি কি সেই বিষয়ে বিস্তারিত। আশা করি আর্টিকেলটি পড়ে সব কিছু ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। বমি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য অবশ্যই আমরা উপরের কাজ গুলো সম্পন্ন করব। 

আমাদের শেষের কথা 

সম্মানিত পাঠক বন্ধু আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে দিবেন। আমরা নিয়মিত আমাদের ওয়েব সাইটে বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল লিখে থাকি। তাই নিয়মিত আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে থাকুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url