ওষুধ ছাড়াই গ্যাস্ট্রিক দূর করার ঘরোয়া উপায় জেনে নিন
ওষুধ ছাড়াই গ্যাস্ট্রিক দূর করার ঘরোয়া উপায় জেনে নিন
সুপ্রিয় পাঠক আসসালামু আলাইকুম। আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। আজকে এয়ারটেলে আলোচনা করব ওষুধ ছাড়াই আপনি ঘরোয়া উপায়ে কিভাবে গ্যাস্ট্রিক দূর করবেন সেই বিষয়ে। আপনার যদি গ্যাস্ট্রিক হয়ে থাকে তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়াও এই গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলো সবার জেনে রাখা উচিত তাই আর্টিকেলটি অবশ্যই শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।
পোস্ট সূচিপত্র:ওষুধ ছাড়াই গ্যাস্ট্রিক দূর করার ঘরোয়া উপায় জেনে নিন
- ভূমিকা
- গ্যাস্ট্রিক দূর করার ঘরোয়া পদ্ধতি
- প্রেসার কমে গেলে তাৎক্ষণিক করণীয়
ভূমিকা:ওষুধ ছাড়াই গ্যাস্ট্রিক দূর করার ঘরোয়া উপায় জেনে নিন
সম্মানিত পাঠক আমাদের অনেকেই রয়েছে যাদের নিয়মিত গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয়ে থাকে। বর্তমান সময়ে প্রায় অনেক মানুষ প্রতিনিয়ত গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার সম্মুখীন হয়ে চলেছে। প্রতিনিয়ত গ্যাস্ট্রিকের কারণে অনেক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে বিভিন্ন রোগে। তাই গ্যাস্ট্রিক নিরাময় করা আমাদের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই আর্টিকেলে আলোচনা করতে চলেছি গ্যাস্টরিক কিভাবে ঘরোয়া উপায়ে দূর করবেন সেই বিষয়ে।
আরো পড়ুনঃ ডায়াবেটিসের লক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ করার উপায়-কিভাবে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা যায়
ওষুধ ছাড়াই গ্যাস্ট্রিক দূর করার ঘরোয়া উপায়
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা নাই এমন লোক খুব কমই আছে। আর এর যন্ত্রণা যে কতখানি অস্বস্তি কর যারা ভুক্তভোগী তারাই অনুধাবন করতে পারেন। একটু ভাজাপোড়া অথবা দাওয়াতে গেলে মশলাযুক্ত খাবার খেলেই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা শুরু হয়ে যায়। এই গ্যাস্ট্রিক থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য সবাই ওষুধের দিকে ছুটে যায়।
সারাদেশে যে পরিমাণ গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ বিক্রি হয় অন্য সব রোগ নিলেও এ পরিমাণ ওষুধ বিক্রি হয় না। ওষুধের উপর নির্ভরশীল না হয়ে খাবারের দিকে মনোযোগী হয়ে কিছু নিয়ম মেনে চললেই আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। চলুন জেনে নেয়া যাক ওষুধ ছাড়া কিভাবে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করবেন বা মুক্তি পাবেন।
কমলাও কলা
পাকস্থলীর অতিরিক্ত সোডিয়াম দূর করতে কমলা এবং কলা সহায়তা করে থাকে। তাই গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কলা দ্রবীভূত হয়ে সক্ষম ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে তাই সারাদিনে দুইটি কলা খান পেট পরিষ্কার রাখার জন্য কলার ঝুড়ি নেই।
দই
গ্যাস্ট্রিক থেকে বাঁচার একটি ঘরোয়া উপায় হল দই খাওয়া। দই খাওয়ার ফলে দ্রুত হজম হয় ফলে পেটে গ্যাস হওয়ার প্রবণতা থাকে না।
পেঁপে
পেঁপে রয়েছে পাপায়া নামের এনজাইম যা পেটের হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস করুন তাহলে গ্যাস থেকে অনেকটাই মুক্তি পাবেন।
শসা
শসা খেলে পেট ঠান্ডা থাকে শসাতে রয়েছে ফ্লেভানয়েড ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা পেটে গ্যাসের উদ্রেক কমায়।
আদা
গ্যাস্ট্রিক দূর করার আরেকটি ঘরোয়া উপায় হচ্ছে আদা। আদা হচ্ছে এন্টি অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানসমৃদ্ধ খাবার। পেট ফাঁপা হলে পেটে গ্যাস হলে আদা কুচি করে লবণ দিয়ে খান দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধান পাবেন।
লবঙ্গ
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে লবঙ্গ তে রয়েছে একাধিক উপকারী উপাদান যা গ্যাসের প্রকোপ কমাতে সাহায্য করে। তাই ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস নিয়ন্ত্রণ করতে হলে অবশ্যই আপনাকে লবঙ্গ খেতে হবে। খাবার বেশি মাত্রায় খাওয়ার পরে বুক জ্বালাপোড়া ঢেকর উঠলে দুটি লবঙ্গ খেলে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
পুদিনা পাতার পানি
পুদিনা পাতার পানি খেলে গ্যাস কমে যায়। এক কাপ পানিতে পাঁচটি পুদিনা পাতা ফুটিয়ে খান। এতে করে পেট ফাঁপা বমি বমি ভাব থাকলে তা দূর হয়ে যাবে।
রসুন
এসিডিটির সমস্যা দূর করতে রসুনের বিকল্প নেই। এসির সমস্যা দূর করতে হলে আপনাকে একটা কোয়া রসুন খেলে এসিডিটির হরণের মাদ্রাসাভাবিক হতে শুরু করবে। গ্যাস সংক্রান্ত বিভিন্ন উপসর্গ ধীরে ধীরে কমে যাবে রসুন খেলে।
ডাবের পানি
ডাবের পানি খেলে পেটের হজম শক্তি বাড়ে। এছাড়াও গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ডাবের পানি খুবই কার্যকরী। তাই প্রতিদিন ডাবের পানি খাওয়ার অভ্যাস করুন তাহলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকলে বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।
অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরা দিয়ে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের খনিজ যা ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায় হজম শক্তি বাড়ায় শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখে। তাই এলোভেরা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। কেননা এলোভেরার উপাদান পেটে তৈরি হয় এসিডের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয় ফলে এসিডের সমস্যা একবারে নিয়ন্ত্রিত থাকে। উপরোক্ত বিষয়গুলো ছাড়াও ওজন কমানো খাবার গ্রহণের সঠিক ব্যবধান খালি পেটে চলাফেরা না করা চা না খাওয়া ইত্যাদি বিষয়গুলো নিজের আয়ত্তে রাখতে পারলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া খুব কঠিন কাজ নয় শুধু একটু সাবধানে চলাফেরা করলে এবং খাওয়া-দাওয়া নিয়ম মেনে করলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। উপরে উল্লেখিত খাবার গুলোর সঙ্গে আজ জাতীয় খাবার বেশি বেশি করে খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকবে না। ফলে আর কিনতে হবে না ওষুধ এবং সাশ্রয় হবে আপনার উপার্জিত অর্থ।
আরো পড়ুনঃ হাঁপানি রোগের কারণ-শ্বাসকষ্ট ও হাঁপানি রোগ থেকে মুক্তির পাওয়ার উপায়
প্রেসার কমে গেলে তাৎক্ষণিক করণীয়
প্রথমেই প্রেশার মাপুন
প্রেসার কম-বেশি হওয়ার কারণে মস্তিষ্ক কিডনি এবং হৃদপিন্ডের স্বাভাবিক রক্ত প্রবাহ ব্যাহত হয়। প্রেসার কম হলেও কি প্রেসার বেশি হল সেটা না জেনে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক নয়। কেননা প্রেসার কম-বেশি হল কিনা সেটা না জেনে কোন সিদ্ধান্ত নিলে তা হিটের বিপরীত হতে পারে। তাই সর্ব প্রথমে প্রেসার মাপতে হবে। প্রেসার অতিরিক্ত কমে গেলে মস্তিষ্ক এবং কিডনি স্বাভাবিক রক্ত প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হয়। ফলে মানুষ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। হঠাৎ করে প্রেসার কমে গেলে ক্লান্তি বোধ অজ্ঞান হওয়া বমি বমি ভাব শরীর ঝড়ফড় করা বুক ধরফর করা অবসাদ চোখে ঝাপসা দেখা শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা সাথে পায়খানা হয়ে যেতে পারে।
একজন সুস্থ মানুষের রক্তচাপ থাকে ১২০/৮০। সেটা ৯০/৬০ বা এর আশপাশে থাকলে লো ব্লাড প্রেসার হিসেবে গণ্য করা হয়। এরকম অবস্থায় মানবদেহে অস্বাভাবিকতা দেখা দেয়। তাই প্রেসার কমে গেলে সঙ্গে সঙ্গে যা যা করবেন জেনে নিন-
প্রথমে প্রেসার মাপুন
- এক গ্লাস পানিতে আধা চা চামচ লবণ মিশিয়ে লবণ পানি দ্রুত পান করুন।
- কিসমিস পানিতে ভেজার এবং দ্রুত সেই পানি পান করুন
- কফি পান করলে ব্লাড প্রেসার বাড়ে তাই সাথে সাথে কফি পান করাতে পারেন সে ক্ষেত্রে দুধ ও চিনি ব্যবহার করা যাবে না।
- রাতে কয়েকটি কাঠবাদাম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন এবং সকালে সেটি খোসা ছাড়িয়ে এক গ্লাস দুধের সঙ্গে পান করুন।
- গাজরের জুস-এ সামান্য মধু মিশিয়ে সকালে খালি পেটে পান করুন।
- অবস্থা কন্ট্রোলের বাইরে চলে গেলে একা পানিতে এক টেবিল চামচ যষ্টি মধু মিষ্টি পান করুন।
- সর্বোপরি স্পেশাল কম বা বেশি যাই হোক না কেন অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
আমাদের শেষের কথা
সম্মানিত পাঠক, আর্টিকেলটি পরে আশা করি ভালো লেগেছে। আর্টিকেলটি অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে দিবেন যাতে বন্ধুরা এসব বিষয়ে সচেতন হয়। সম্মানিত পাঠক, আমরা নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি নিয়মিত আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে থাকুন ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url