বায়োমিল খাওয়ার সঠিক নিয়ম-বায়োমিল কিভাবে বানাতে হয়?

বায়োমিল খাওয়ার সঠিক নিয়ম-বায়োমিল কিভাবে বানাতে হয়?

সম্মানিত পাঠক আজকে এই আর্টিকেলে আলোচনা করব বায়োমিল সম্পর্কে। বায়োমিল খাওয়ার সঠিক নিয়ম বায়োমিল কেন খাবেন এ সম্পর্কে বিস্তারিত এই আর্টিকেল আলোচনা করব। আর্টিকেলটি বিভিন্ন তথ্যবহুল তাই বায়োমিল সম্পর্কে জানতে হলে আপনার এই আর্টিকেলটি পড়তেই হবে। চলুন দেরি না করে শুরু করি।

বায়োমিল খাওয়ার নিয়ম 

ছবি

বায়োমিল একটি খাদ্য যা প্রোটিন ভিটামিন খনিজ এবং অন্যান্য পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। বায়োমিল শরীরের পুষ্টি চাহিদা পূরণে সাহায্য করে। বায়োমিল খাওয়ার নিয়ম রয়েছে। বায়োমিল খাওয়ার নিয়ম হলো: 

পরিমাণ মত খেতে হবে: বায়ো মেইল খাওয়ার নিয়ম রয়েছে। বায়োমিল নির্দিষ্ট পরিমাণ মতন খেতে হবে। প্রতিদিন একটি বা দুটি স্কুপ বা পরিমাণ নির্দেশিকা অনুযায়ী ব্যবহার করতে হবে।

মিশ্রণ: বায়োমিল সাধারণত পানির সাথে মিশিয়ে খেতে হয় তবে দুধ বা ফলের রসের সাথে মিশিয়েও খাওয়া যায়।

বায়োমিল খাওয়ার সঠিক সময়: বায়োমিল খাওয়ার সঠিক সময় হচ্ছে নাস্তার সময় বা ভারী খাবারের পর। বিশেষ করে ব্যায়ামের পর বায়োমিল খাওয়ার উপকারিতা অনেক বেশি। বায়োমিল খাবারের পরিপূরক হিসেবে ব্যবহার করুন। অতিরিক্ত বায়োমিল খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন। এছাড়াও সময় মতো প্যাকেটের নির্দেশনা এবং পেশাদার চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়া উচিত।

আরো পড়ুনঃ মাদার্স হরলিক্স খাওয়ার নিয়ম-কেন মাদার্স হরলিক্স খাবেন

বায়োমিল-১ ব্যবহারের নিয়ম

  • শিশুর জন্মের প্রথম ছয় মাস এর জন্য ব্যবহৃত একটি ইনভেন্ট ফর্মুলা হচ্ছে বায়োমিল ওয়ান। বায়োমিল one শিশুর পোস্টি চাহিদা পূরণে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। বায়োমিল ওয়ান খাওয়ার নিয়ম গুলো হল: 
  • বায়োমিল-১ অবশ্যই নির্দিষ্ট পরিমাণ মতো খাওয়াতে হবে। সে ক্ষেত্রে প্যাকেটের গায়ে নির্দেশনা অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করান।
  • বায়োমিল ১ মিশ্রন প্রক্রিয়া রয়েছে। সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পরিমাণ বায়োমিল পাউডার নিয়ে ফিল্টার করা পানিতে মিশাতে হবে। সাধারণত স্কুড পাউডারকে ৩০ মিলিমিটার পানিতে মিশাতে হয়। তারপর খেতে হয়।
  • বায়োমিল এক প্রস্তুতি প্রক্রিয়া রয়েছে। পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত উপকরণ ব্যবহারের ফর্মুলা প্রস্তুত করতে হবে। এছাড়াও পানির তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর নিচে হওয়া উচিত যাতে বায়োমিল ১ এর পুষ্টিগুণ বজায় থাকে।
  • বায়োমিল ১ প্রস্তুতকরণের পর সেই ফর্মুলাটিকে এক ঘণ্টার মধ্যে শিশুকে খাওয়াতে হবে। অতিরিক্ত থাকলে ফেলে দিতে হবে। অবশ্যই পুনরায় গরম করে ব্যবহার করবেন না।
  • শিশুর পুষ্টি চাহিদা অনুযায়ী পরিমাণ মতো ব্যবহার করতে এবং নিয়ম জানতে অবশ্যই পেডিয়াট্রিশিয়ানের পরামর্শ নিন। বায়োমিল ১ ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই প্যাকেটের গায়ের নির্দেশনা অনুসরণ করুন এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

বায়োমিল ১ প্রস্তুতির জন্য নিম্নলিখিত নির্দেশনা অনুসরণ করুন:

  • এক স্কুপ পাউডার ব্যবহার করা হয় সাধারণত ৩০ মিলিমিটার পানিতে। 
  • বায়োমিল অবশ্যই পরিষ্কার এবং ফিল্টার করা ফুটিয়ে নেওয়া পানিতে ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর নিচে গরম পানিতে ব্যবহার করতে হবে।
  • বায়োমিল ১ একটি পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত বোতলে নির্দিষ্ট পরিমাণ পানি দিয়ে সেই পানি অনুযায়ী পাউডার যোগ করতে হবে। 
  • বোতলটি অবশ্যই ভালোভাবে ঝাঁকিয়ে পাউডারটি ভালোভাবে পানিতে দ্রবীভূত করতে হবে এবং একটি মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। 
  • বায়োমিল ১ এর মিশ্রণটি উপযুক্ত হয়েছে কিনা বা উপযুক্ত তাপমাত্রায় রয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করতে হবে সাধারণত 37 ডিগ্রি তাপমাত্রা উপযুক্ত। 
  • প্রস্তুতকৃত ফর্মুলা ১ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবহার করতে হবে অবশিষ্ট থাকলে ফেলে দিতে হবে। মনে রাখবেন পুনরায় গরম করে খাওয়াবেন না।

বায়োমিল ২ প্রস্তুতের জন্য নির্দেশনা

  • বায়ো-মিল ২ এবং বায়োমিল 1 এর প্রস্তুত প্রক্রিয়া প্রায় একই। 
  • বায়োমিল ২ এর জন্য প্রতি ৩০ মিলিমিটার পানির জন্য এক স্পিড পাউডার ব্যবহার করতে হবে। 
  • ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস নিচের তাপমাত্রায় পানি ফুটিয়ে নিতে হবে এবং ফিল্টার পানিতে পাউডার মেশাতে হবে। 
  • পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত বোতলে নির্দিষ্ট পরিমাণ পানি এবং পাউডার নিয়ে দ্রবীভূত করতে হবে। 
  • মিশ্রণটি অবশ্যই ভালো হবে ঢাকাতে হবে জানো সম্পূর্ণরূপে পাউডারটি পানিতে দ্রবীভূত হয়। 
  • মিশ্রণটির অবশ্যই তাপমাত্রা পরীক্ষা করতে হবে কেননা শিশুর জন্য উপযুক্ত তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাই অবশ্যই তাপমাত্রা পরীক্ষা করে শিশুর খাওয়ার উপযুক্ত হয়েছে কিনা তা দেখতে হবে।
  • প্রস্তুতকৃত ফর্মুলা ১ ঘন্টার মধ্যে ব্যবহার করতে হবে অবশিষ্ট থাকলে ফেলে দিতে হবে।

মন্তব্য: বায়োমিল খাওয়ার সঠিক নিয়ম-বায়োমিল কিভাবে বানাতে হয়?

প্রিয় পাঠক বায়োমিল ১ এবং বায়োমিল ২ এর মধ্যে খাওয়ার প্রক্রিয়া এবং মিশ্রণ প্রক্রিয়া প্রায় সেম। সর্বোপরি একটি কথা হল সবসময় প্যাকেটের গায়ে নির্দেশনা অনুসরণ করুন। শিশুদের খাদ্য সংক্রান্ত যেকোনো প্রশ্নের জন্য পেডিয়াট্রিশিয়ানের পরামর্শ নিন।

শেষের কথা 

পাঠক বন্ধু আশা করি আর্টিকেলটি পড়ে আপনার ভালো লেগেছে এবং বায়োমিল এক এবং দুইয়ের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আর্টিকেলটি অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে দিবেন এবং নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url