দুর্ঘটনা থেকে বাঁচার আমল-দুর্ঘটনা প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে জেনে নিন

দুর্ঘটনা থেকে বাঁচার আমল-দুর্ঘটনা প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে জেনে নিন

প্রিয় পাঠক আসসালামু আলাইকুম। দুর্ঘটনা থেকে বাঁচার জন্য মহান আল্লাহ তায়ালা কিছু আমল দিয়েছেন। যে আমলগুলো করলে দুর্ঘটনা থেকে বাঁচা যায়। সে দোয়া গুলো হলো

পোস্ট সূচিপত্র: দুর্ঘটনা থেকে বাঁচার আমল-দুর্ঘটনা প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে জেনে নিন

  • সকাল-বিকালের দোয়া
  •  দুর্ঘটনা থেকে বাঁচার আমল
  • যেকোনো যানবাহনে ওঠার দোয়া
  • দুর্ঘটনা প্রতিরোধের উপায় 
  • মন্তব্য

 দুর্ঘটনা থেকে বাঁচার আমল

ছবি

১. সকাল-বিকালের দোয়া

"بِسْمِ اللهِ الَّذِيْ لاَ يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ فِي الأَرْضِ وَلاَ فِي السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ"

উচ্চারণ: "বিসমিল্লাহিল্লাযী লা ইয়াদুররু মা’আসমিহি শাইউন ফিল আরদি ওয়ালা ফিস সামাই ওয়াহুয়াস সামী’উল আলীম।"

অর্থ: আল্লাহর নামে, যাঁর নামের বরকতে আকাশ ও জমিনের কোনো কিছুই ক্ষতি করতে পারে না, তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ।

এই দোয়াটি সকালে তিনবার ও সন্ধ্যায় তিনবার করে পাঠ করা সুন্নত।

আরো পড়ুনঃ লাভজনক ব্যবসার সেরা ১০টি আইডিয়া ২০২৪

২. যেকোনো যানবাহনে ওঠার দোয়া

"سُبْحَانَ الَّذِيْ سَخَّرَ لَنَا هَذَا وَمَا كُنَّا لَهُ مُقْرِنِينَ، وَإِنَّا إِلَى رَبِّنَا لَمُنْقَلِبُونَ"

উচ্চারণ: "সুবহানাল্লাযী সাখ্খারা লানা হা-যা, ওয়া মা কুন্না লাহু মুকরিনীন, ওয়া ইন্না ইলা রাব্বিনা লামুনকলিবুন।"

অর্থ: মহিমাময় তিনি(আল্লাহ তাআলা) যিনি আমাদের জন্য এই বাহনকে বশীভূত করেছেন, অন্যথায় আমরা তা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম ছিলাম না।আমরা অবশ্যই আমাদের প্রভুর দিকে প্রত্যাবর্তনকারী।

এই দোয়াটি গাড়ি, বিমান, ট্রেন বা যেকোনো বাহনে উঠার সময় পাঠ করা যায়। উপরের এসব দোয়াগুলো পাঠের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সাহায্য প্রার্থনা করা যায়।

দুর্ঘটনা প্রতিরোধের উপায় 

আমাদের চারপাশের প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটেই চলছে। কিন্তু এই দুর্ঘটন মূলত অসাবধানতার কারণে ঘটে থাকে। রাস্তাঘাটে চলাফের ক্ষেত্রে অসচেতনতার কারণে দুর্ঘটনাগুলো ঘটে। দুর্ঘটনা প্রতিরোধের জন্য কিছু কার্যকরী উপায় রয়েছে। যে উপায়গুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অনুসরণ করার মাধ্যমে দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

১. সতর্কতা অবলম্বন করা

রাস্তাঘাটে যানবাহন চালানোর সময় অবশ্যই ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ট্রাফিকের নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে। গতি অবস্থায় নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে এবং ঝুঁকিপূর্ণ ওভারটেকিং এড়িয়ে চলতে হবে। যানবাহন চলাচল কালে বা রাস্তাঘাটে চলাচলের সময় মোবাইল ফোন বা অন্যান্য ডিভাইস ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

২. নিয়মিত যানবাহনের রক্ষণাবেক্ষণ করা 

প্রতিদিন যানবাহন রাস্তায় বের করার সময় যানবাহনের টায়ার লাইট ব্রেক এবং গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশদি ঠিক আছে কিনা তা অবশ্যই পরীক্ষা করতে হবে। যানবাহনে কোন ত্রুটি দেখা দিলে অবশ্যই দ্রুত মেরামত করতে হবে।

৩. সুরক্ষামূলক সরঞ্জামের ব্যবহার করা

গাড়ির সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম এর ব্যবহার করতে হবে। যেমন গাড়ি চালানোর সময় অবশ্যই সিটবেল্ট ব্যবহার করতে হবে। মোটরসাইকেল বা সাইকেল চালানোর সময় হেলমেট ব্যবহার করতে হবে। শিশুদের ক্ষেত্রে সুরক্ষামূলক সিট ব্যবহার করতে হবে। 

৪. প্রশিক্ষণ এবং সচেতনতা

যেকোনো ধরনের যানবাহন চালানোর আগে অবশ্যই প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হবে। রাস্তার বিভিন্ন সংকেত চিহ্ন সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে প্রাথমিক করণীয় সম্পর্কে জেনে রাখতে হবে।

৫. বিশ্রাম এবং মনোযোগ দিয়ে গাড়ি চালানো 

দীর্ঘ সময় গাড়ি চালানোর আগে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম এবং ঘুমাতে হবে। শরীর অসুস্থ এবং ক্লান্ত থাকলে গাড়ি চালানো থেকে বিরত থাকতে হবে।

৬. রাস্তার পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন থাকা

রাস্তা কত স্পিডে গাড়ি চলার জন্য উপযুক্ত তা বিবেচনা করতে হবে। রাস্তার পরিবেশ সম্পর্কে সহযোগিতা থাকতে হবে। তুষারপাত কুয়াশা বা বৃষ্টির মত খারাপ আবহাওয়া সময় অবশ্য বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। অন্ধকার রাস্তায় লাইট এবং হর্ন যথাযথভাবে ব্যবহার করতে হবে এবং সতর্ক থাকতে হবে।

৭. যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ

গাড়ি চালনায় অবস্থায় সকল যাত্রীকে সিটবেল পড়তে বলতে হবে এবং যানবাহনের ধারণক্ষমতার চাইতে যাতে বেশি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

৮. রাস্তার অবস্থা এবং পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন থাকা

রাস্তার অবস্থা এবং পরিবেশ বুঝে গাড়ি চালাতে হবে। অপরিচিত বা বিপদজনক রাস্তায় গাড়ি চলাচল করার সময় সতর্ক থাকতে হবে এবং রাস্তায় কোন বাধা থাকলে তা এড়িয়ে চলতে হবে। 

৯.ওভার টেকিং করার সময় বিশেষ সতর্কতা 

গাড়ি ওভারটেকিং করার সময় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ওভার টেকিং করার সময় সিগনাল ব্যবহার করতে হবে। তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা থাকতে হবে।

১০. মদ্যপান এবং মাদক সেবন এড়িয়ে চলা

মদ্যপান এবং মাদক সেবন থেকে দূরে থাকতে হবে। কেননা মদ্যপান এবং মাদক সেবন করা দুর্ঘটনা দেখতে অন্যতম কারণ। তাই এসব পরিহার করতে হবে এবং নিরাপদে যাত্রা করতে হবে।

আরো পড়ুনঃ বাবা-মায়ের প্রতি সন্তানের দায়িত্ব ও কর্তব্যসমূহ জেনে নিন 

মন্তব্য: দুর্ঘটনা থেকে বাঁচার আমল-দুর্ঘটনা প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে জেনে নিন

প্রিয় পাঠক দুর্ঘটনা এড়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা কুরআন এবং হাদিসে নির্দেশনা প্রদান করেছেন। সেগুলো পালন করব এবং উপরের দুর্ঘটনা প্রতিরোধের যে করণীয় গুলো আছে সেগুলো আমরা নিয়মিত মেনে চলব। এই সব উপায় অনুসরণ করলে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে এবং সুরক্ষিতভাবে চলাফেরা করা সম্ভব হবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url