ফুসফুসের ক্যান্সারের ৯টি প্রাথমিক লক্ষণ-ফুসফুসে ক্যান্সারের চিকিৎসা
ফুসফুসের ক্যান্সারের ৯টি প্রাথমিক লক্ষণ-ফুসফুসে ক্যান্সারের চিকিৎসা
সম্মানিত পাঠাবো আসসালামু আলাইকুম মোটিভেশন আইডির পক্ষ থেকে আপনাকে জানাই শুভেচ্ছা ও স্বাগতম। আজকে এই আর্টিকেল আলোচনা করব ফুসফুসে ক্যান্সারের লক্ষণ নিয়ে। এছাড়াও ফুসফুসে ক্যান্সারের চিকিৎসা এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। সুতরাং অবশ্যই শেষ পর্যন্ত পড়বেন।
পোস্ট সূচীপত্র: ফুসফুসের ক্যান্সারের ৯টি প্রাথমিক লক্ষণ-ফুসফুসে ক্যান্সারের চিকিৎসা
- ভূমিকা
- ফুসফুসের ক্যান্সারের ৯টি প্রাথমিক লক্ষণ
- ফুসফুসের ক্যান্সারের চিকিৎসা
- ফুসফুসে ক্যান্সারের প্রতিরোধ ব্যবস্থা
- মন্তব্য
ভূমিকা: ফুসফুসের ক্যান্সারের ৯টি প্রাথমিক লক্ষণ-ফুসফুসে ক্যান্সারের চিকিৎসা
আমাদের সমাজে অনেকেই রয়েছে যাদের ফুসফুসের সমস্যা হয়ে থাকে। ফুসফুসে ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণগুলো সাধারণত খুবই ওস্পষ্ট হয় যা অনেক সময় ধরা পড়ে না। তাছাড়া অন্যান্য রোগের সাথে এর লক্ষণ গুলো মিলে যায়। তবে প্রাথমিক অবস্থায় এ লক্ষণ গুলো চিনতে পারলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে ফুসফুসের ক্যান্সার নিরাময় করা সম্ভব। ফুসফুসে ক্যান্সারের নয়টি লক্ষণ নিচে উল্লেখ করা হলো:
ফুসফুসের ক্যান্সারের ৯টি প্রাথমিক লক্ষণ
1.বুকের ব্যথা অনুভব হওয়া
ফুসফুসে ক্যান্সারের একটি লক্ষণ হলো বুকের ব্যথা অনুভব করা। এছাড়াও শ্বাস নিতে কষ্ট হয় এবং হাসতে গেলেও বুকে ব্যথা অনুভব হয়।
2.রক্তকফ বা রক্ত মিশ্রিত কাশি
ফুসফুসে ক্যান্সার হয়ে থাকলে রক্ত কফ বের হয়। রক্ত মিশ্রিত কাশি হয়ে থাকে। যা ফুসফুসের ক্যান্সারের লক্ষণ।
3.শ্বাসকষ্ট হওয়া
ফুসফুসে ক্যান্সার হয়ে থাকলে শ্বাস কষ্ট হতে পারে। স্বাভাবিকভাবে কাজের সময় বা সামান্য পরিশ্রমেই শ্বাসকষ্ট অনুভব করে রোগী।
4.কণ্ঠস্বরে পরিবর্তন হওয়া
কন্ঠস্বরের পরিবর্তন হয়ে যায়। কণ্ঠস্বরের স্বাভাবিকতা হারিয়ে কন্ঠ ভেঙে যায় এবং ক্রমাগত কন্ঠের আওয়াজ বদলে যাওয়া শুরু করে ফুসফুসে ক্যান্সার হলে।
5. ওজন দ্রুত কমে যাওয়া
রোগের ওজন কমে যায় ফুসফুসে ক্যান্সার হয়ে গেলে। কোন কারণ ছাড়াই শরীরের ওজন দ্রুত কমে যাওয়া ফুসফুসে ক্যান্সারের একটি অন্যতম লক্ষণ।
6.নিউমোনিয়া বা ফুসফুসের সংক্রমণ
নিউমোনিয়া বা ফুসফুসের সংক্রমণ হওয়া। নিউমোনিয়া বা ব্রংকাইটিস এর মত ফুসফুসের সংক্রমণ বেড়ে যায়।
7.ক্ষুধামন্দা সৃষ্টি হওয়া
ফুসফুসে ক্যান্সারের একটি অন্যতম লক্ষণ হচ্ছে ক্ষুধা মন্দা। খাবারের প্রতি অনুগ্রহ এবং রুচি কমে যাওয়া।
8.কাশি অব্যাহত থাকে
ফুসফুসে ক্যান্সার হয়ে থাকলে কাশি দীর্ঘদিন অব্যাহত থাকে। দীর্ঘদিনের ধরে কাছে থাকা এবং সময় সঙ্গে সঙ্গে আরও খারাপ অবস্থা হওয়ার এসব ফুসফুসে ক্যান্সারের সাধারণ লক্ষণ। মাঝে মাঝে সাধারণ কাশ্মীর ওষুধ খেলেও উপোস হয় না।
9.অবসাদ বা ক্লান্তি অনুভব করা
প্রতিদিনের কাজের মত অতিরিক্ত ক্লান্তি অনুভব করা এবং শক্তির অভাব বোধ করা ফুসফুসে ক্যান্সারের লক্ষণ।
ফুসফুসের এসব লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ প্রাথমিক পর্যায়ে সমাপ্ত করণ চিকিৎসা সম্ভাবনা বাড়ায়।
ফুসফুসের ক্যান্সারের চিকিৎসা
ফুসফুসে ক্যান্সারের লক্ষণ গুলো আমরা এতক্ষণ জানতে পারলাম। এবার আমরা আলোচনা করব ফুসফুসে ক্যান্সার থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় সম্পর্কে। ফুসফুসের ক্যান্সার থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় নির্ভর করে ক্যান্সারের ধরন পর্যায়ে এবং রোগীর শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে। নবীর শরীরে কতটা ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়েছে এর উপর চিকিৎসা নির্ভর করে। যত দ্রুত চিকিৎসা করা যায় ততই সাফল্যের সম্ভাবনা বেশি। নিচে ফুসফুসে ক্যান্সারের মুক্তি পাওয়ার কিছু সাধারণ চিকিৎসা পদ্ধতি আলোচনা করা হলো:
সার্জারি (অস্ত্রোপচার) করা
ফুসফুসে ক্যান্সারের একটি প্রাথমিক চিকিৎসা পদ্ধতি হলো সার্জারি বা অস্ত্র পাচার করা। প্রাথমিক অবস্থায় সার্জারি করে ক্যান্সার আক্রান্ত খুসখুস অংশ বা পুরো ফুসফুস করিয়ে ফেলা হয়।
কেমোথেরাপি
ফুসফুসে ক্যান্সার রোগীকে কেমোথেরাপি প্রদান করা হয়। কেমোথেরাপি ওষুধকে আনসার কে ধ্বংস করে এবং ক্যান্সারের বৃদ্ধি বন্ধ করতে সাহায্য করে। এটি সার্জারি রাগ এবং পরে প্রয়োগ করতে পারে।
রেডিয়েশন থেরাপি
ফুসফুসে ক্যান্সারের আরেকটি চিকিৎসা পদ্ধতি হলো রেডিয়েশন থেরাপি দেওয়া। উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন রেডিয়েশন থেরাপি ব্যবহার করে ক্যান্সারের কোষ গুলোকে ধ্বংস করা হয়। সার্জারি এবং কিমেথেরাপির সাথে ব্যবহার করা হয় এটি।
ইমিউনোথেরাপি
ইমিউনোথেরাপি হচ্ছে ফুসফুসে ক্যান্সারের অন্যতম একটি চিকিৎসা পদ্ধতি। এই চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে এবং ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
টার্গেটেড থেরাপি
ফুসফুসে ক্যান্সারের চিকিৎসা পদ্ধতির একটি অন্যতম পদ্ধতি হচ্ছে টার্গেটের থেরাপি প্রদান করা। টার্গেটেড থেরাপি প্রদান করা হয় নির্দিষ্ট জিন প্রোটিন বা টিস্যু পরিবর্তনের লক্ষ্য করে যা ওষুধ হিসেবে প্রয়োগ করা হয় এবং ক্যান্সারের কোচের বৃদ্ধিকে বন্ধ করে দেয়।
6রেডিওফ্রিকোয়েন্সি অ্যাব্লেশন
রেডিওফ্রিকোয়েন্সি অ্যাব্লেশন হচ্ছে একটি আধুনিক পদ্ধতি যেখানে ফুসফুসের ক্যান্সার কোষগুলিকে উচ্চ-ফ্রিকোয়েন্সির তাপ ব্যবহার করে ধ্বংস করা হয়।
ফুসফুসে ক্যান্সারের প্রতিরোধ ব্যবস্থা
ধূমপান ত্যাগ করুন
ফুসফুসে ক্যান্সারের প্রধান একটি কারণ যদি বলি তাহলে বলা যায় ধূমপান করা। ধূমপানের কারণে ফুসফুসে ক্যান্সার হয়ে থাকে। তাই ফুসফুসে ক্যান্সারের প্রতিরোধ হচ্ছে ধূমপান ছেড়ে দেওয়া বা ধুমপান না করা।
পরোক্ষ ধূমপান এড়িয়ে চলুন
শুধুমাত্র ধূমপান করলেই যে ফুসফুসে ক্যান্সার হবে এমন কথা নয় পরোক্ষভাবেও ধূমপানে ফুসফুসকে আক্রান্ত করতে পারে। তাই ধুমপানের ধোঁয়া থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে।
পরিবেশগত দূষণ এড়ান
পরিবেশগত দূষণের কারণে ফুসফুসে ক্যান্সার হয়ে থাকে। বায়ু দূষণ রাসায়নিক পদার্থ এসব পদার্থ এড়িয়ে চলতে হবে।
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন
অবশ্যই স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ ভাগ গড়ে তুলতে হবে। খাদ্যাভ্যাস এর কারণে ফুসফুসে ক্যান্সার হয়ে থাকে। নিয়মিত শাকসবজি ফলমূল গ্রহণ করলে ক্যান্সারে ঝুঁকি কমে।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন
অবশ্যই নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম করে শরীরকে প্রফুল্ল রাখতে হবে। নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
নিয়মিত হেলথ চেকআপ করুন
অবশ্যই ফুসফুসে ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে হলে হেলথ চেকআপ করতে হবে। হেলথ চেকআপ ক্যান্সারের ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা হলে চেকআপ করে ফুসফুসে ইসকন করে রোগ ধরা পড়ে।
আরো পড়ুনঃ প্রস্রাবের ইনফেকশন হওয়ার কারণ,লক্ষণ ও প্রতিকার জেনে নিন
মন্তব্য: ফুসফুসের ক্যান্সারের ৯টি প্রাথমিক লক্ষণ-ফুসফুসে ক্যান্সারের চিকিৎসা
প্রিয় পাঠক ফুসফুসে ক্যান্সারের চিকিৎসা এবং প্রতিরোধের জন্য অবশ্যই সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরী। লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং চিকিৎসার নির্দেশনা অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।
প্রিয় পাঠক, আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। নিয়মিত আর্টিকেল পড়তে এবং বিভিন্ন বিষয়ে জানতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url